সামনেই উৎসবের মরসুম। দুর্গাপুজো আসতে আর একমাস বাকি। সুতরাং দুর্গাপুজোয় উত্তরের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকরা ভিড় জমান। তার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ গরুমারা জাতীয় উদ্যানে হাতির পিঠে বা হুড খোলা জিপ গাড়িতে চেপে গভীর জঙ্গলে বন্য প্রাণী দর্শন করা। এটা তিন মাস বন্ধ ছিল। এবার তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং দুর্গাপুজো মিটলে শীতের মরশুমেও 🧔পর্যটকরা সেখানে যেতে পারবেন। আর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন জঙ্গল সাফারির।
এদিকে আগে থেকেই দুর্গাপুজোর সময়ের বুকিং শুরু হয়ে যায় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যেই গরুমারা–সহ অন্যান্য জঙ্গলের সরকারি লজগুলি প্রায় সবই বুক হয়ে গিয়েছে। আর ডুয়ার্সে জঙ্গলে এলেই পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে হাতি এবং জিপে চড়ে জঙ্গল সাফারি। এই গরুমারায় জঙ্গল সাফারির জন্য 🐽লাটাগুড়ি এলাকায় 🥂অবস্থিত বেসরকারি রিসর্টগুলিতেও চলছে দেদার আগাম বুকিং। শীতেও এখানে ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এখানে যাতে পর্যটকরা এসে ভিড় জমাতে পারেন তার জন্য চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। জঙ্গল সাফারির জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
অন্যদিকে বর্ষায় তিন মাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকে। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবার গরুমারা জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই হাতি সাফারির জন্য গরুমারায় আরও দুটি কুಌনকি হাতি নিয়ে এসেছে বন দফতর। সম্প্রতি জলদাপাড়া থেকে দুটি স্ত্রী কুনকি হাতিকে গরুমারায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। সুতরাং হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল সাফারির জন্য প্রস্তুতি চলছে। এই কারণে হাতির সংখ্যা বাড়ল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। আবার কম সময়ের জন্য খুলছে এই পর্যটনকেন্দ্র। জঙ্গলে পর্যটকদের নিয়ে ছুটে বেড়ানো গাড়িগুলির পরিচর্চায় ব্যস্ত লাটাগুড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্যারাজ। এক মোটর মেকানিক উত্তম রায়ের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে উঠেছে। সকাল থেকেই জঙ্গল সাফারির জন্য গাড়িগুলির পরীক্ষা–নিরীক্ষা খুঁজে দ্রুত মেরামত করে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘুষি মেরে ট্রাফিক সার্জেন্টের নাক ফাটিয়ে দিল🌱 মুরগি ব্যবসায়ী, হরিদেবপুরে ধুন্ধুমার
আর কী জানা যাচ্ছে? বন দফতর সূত্রে খবর, এখন গরুমারার পিলখানায় সব মিলিয়ে ২৬টি কুনকি হাতি রয়েছে। নতুন দুটি কুনকি হাতি আসায় পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির আসন সংখ্যা এখন বেড়ে ২৮টি হল। নতুন দুই কুনক𓆏ি হাতিকে জঙ্গল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলেই কাজে লাগানো শুরু হবে। গরুমারা বন্যপ্রাণ ডিভিশনের এডিএফও জন্মেজয় পাল বলেন, ‘আরও দুটি কুনকি নিয়ে আসায় জঙ্গল সাফারির সুবিধা হবে। হাতির পিঠে চেপে গভীর জঙ্গলে সাফারির পাশপাশি গরুমারা, চাপরামারি জঙ্গলের অন্যতম আকর্ষণ জিপ গাড়ি চেপে গভীর জঙ্গলে ঘুরে হাতি, বাইসন,গণ্ডার দেখা সম্ভব হবে।’