আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ধমক দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ডাক্তারদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অনশন প্রত্যাহারের শর্ত দেওয়াকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত হাওড়ার শিবপুরে দাঁড়িতে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রাজ্যবাসীর কল্যাণে জুনিয়র ডাক্তাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই আশা করি।’তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের সরকার ধমক দিয়েছে, শর্ত দিয়েছে। মাথা উঁচু করে, শিরদাঁড়া বিক্রি না করে লড়াই করা জুনিয়র ডাক্তাররা সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। যাতে বাংলার মানুষ মনে করবে, তারা শিরদাঁড়াটা নারায়ণবাবুর মতো বিক্রি করে দেয়নি।’শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন মুখ্যসচিব। এর পর মুখ্যসচিবের ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন। এমনকী সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের ফের বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন তিনি।মুখ্যসচিব সভামঞ্চ থেকে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে লিখিতভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সেখানে বৈঠকের পূর্বশর্ত হিসাবে জানানো হয়েছে, ধর্মতলায় অনশনকারীরা অনশন প্রত্যাহার করলে তবেই বৈঠক হবে। এমনকী ই মেইলের ভাষাও অবমাননাকর বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।এদিন শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তবে তাঁরা যদি কখনও আমাদের ডাকেন আমরা পতাকা ছাড়াই তাঁদের মঞ্চে যাব।’