খাস কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের চেষ্টার পিছনে থাকতে পারে বিজেপি–সিপিএমের হাত। ডানকুনির চাকুন্দিতে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কসবা কাণ্ড নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। কারণ কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নানা♕ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ গুলজারকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করেছে গলসি থানার পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছে ধৃত। তার দাবি, কাউন্সিলর তার ২ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করে রেখেছিল। সুশান্ত ঘোষকে গুন্ডাও বলে গুলজার।
এদিকে এই ঘটনায় এবার একযোগে সিপিএম এবং বিজেপিক🐼ে কড়া আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ১ নম্বর ওয়ার্ডে বাসস্ট্যান্ড পাম্প হাউস–সহ ঢালাই রাস্তার উদ্বোধন করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই সিপিএম–বিজেপিকে নিশানা করেন কল্যাণ। এমনকী মহম্মদ সেলিমকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটু ভাল করে খোঁজখবর নিলে হয়তো দেখা যাবে, বিজেপি এবং সিপিএম এসবের পিছনে রয়েছে। একটা অদ্ভুত ব্যাপার তৈরি হল। যেভাবে বিজেপি এবং সিপিএম হিꦰংসাত্মক কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করতে চাইছে, এসব তার জ্বলন্ত নিদর্শন।’
আরও পড়ুন: মন্দারমণির হোটেল থেকে সমুদ্রসৈকত শুনশান, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে চাপে ব্যবসায়ীরা
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গোটা দল তাঁর পাশে আছে সেই বার্তা দেওয়া হয়। তারপরই নতুন লড়াইয়ে নামতে চলেছেন বলে জানিয়ে দেন সুশান্ত ঘোষ। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘২০২৬ সালে কোনও বিরোধী দলনেতা হবে না রাজ্যে। একটু ভাল করে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, বিজেপি–সিপিএম রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।’ ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলি🌊শের গোয়েন্দা বিভাগ এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম যুবরাজ সিং। ওই ট্যাক্সিতে করেই ইকবাল–সহ বাকিরওা পালায়। কসবায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের চেষ্টায় বিহার যোগ রয়েছে। মোট তিনজন আসে বিহারের বৈশালী থেকে বলে খবর।
এছাড়া কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজডাঙা মেন রোড এলাকায় বাড়ি তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের। ২৫০ মিটার দূরে অবস্থিত অ্যাক্রোপলিস মল। দেড় কিলোমিটার দূরেই রয়েছে কসবা থানা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সুশান্ত ঘোষ ছিলেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এ꧒খন তিনি পাশের ওয়ার্ড ১০৮ নম্বরের কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান। তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, ৫ থেকে ৬ জন যুক্ত এই হত্যার চ𒐪েষ্টার ঘটনায়। বাকিরা ধরা পড়লে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কালিন্দীর ফ্ল্যাটে রাখা হয় যুবরাজ–সহ তিনজনকে। ওই ফ্ল্যাটটি রাম সিংয়ের। যিনি সুশান্ত ঘোষ ঘনিষ্ঠ।