করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মোট তিন ভাগে ভাগ করা হল দেশের জেলাগুলিকে। কেন্দ্রীয়় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় করোনা সংক্রামিত জেলার মধ্যে স্থান পেয়েছে রাজ্যের মোট ১১টি জেলা।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হটস্পট তালিকাভুক্ত অতিরিক্ত সংক্রামিত (লার্জ আউটব্রেক) জেলা, হটস্পট তালিকায় থাকা ক্লাস্টারযুক্ত জেলা এবং নন-হটস্পট তালিকায় থাকা জেলাগুলিতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বিধি বলবৎ থাকবে। বাকি গ্রিন জোন তালিকায় থাকা জেলাগুলিতে আগামী ২০ এপ্রিলের পর নিষেধাধাজ্ঞা শিথিল করা যেতে পারে।বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় হটস্পট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশের মোট ১২৩টি জেলা। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪টি জেলা।দেশের ক্লাস্টারযুক্ত হটস্পট জেলাগুলির সংখ্যা ৪৭। এই তালিকায় রাজ্যের কোনও জেলা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।নন-হটস্পট জেলার তালিকায় রয়েছে বাংলার ৭টি জেলা। এই জেলাগুলিতে তুলনায় কম সংক্রমণের হার রয়েছে এবং সেখানে সম্প্রতি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।যে সমস্ত জেলায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের হার, সেগুলি করোনা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলা- কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা।তৃতীয় বিভাগ ‘গ্রিন জোন’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেই সমস্ত জেলা, যেখানে সংক্রমণের হার তুলনায় কম। অর্থাৎ, গত কয়েক দিনে এই অঞ্চলগুলি থেকে কোনও নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, হটস্পটগুলিতে আগামী ২৮ দিন বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যতদিন না জেলার সমস্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন, কিংবা নতুন কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।কোন অঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে, সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনকে রিপোর্ট তৈরি রাখতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে হটস্পটের তালিকা পরে বদল করা হতে পারে।গ্রামীণ এলাকায় হটস্পটগুলি ৩ কিমি ব্যাসার্ধ এবং বাফার অঞ্চলে ৭ কিমি ব্যাসার্ধ পর্যন্ত নির্দিষ্ট থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।