বড়দিনে শীতের ভালোমতো আমেজ ছিল। আর বর্ষশেষে একেবারে জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে বাংলায়। ইতিমধ্যে তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলকাতার পারদ নেমে গিয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই মরশুমের শীতলতম দিন। বাকি জেলাগুলির তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দু'তিন ডিগ্রি নীচে আছে।শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা একধাক্কায় ১.৫ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। গত ২১ ডিসেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল। তারপর পারদ কিছুটা উর্ধ্বমুখী হলেও বছরের শেষ রবিবার একেবারে কনকনে শীতে কাঁপছে কলকাতা। সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা থাকলেও হাঁড়কাপানো ঠান্ডা রয়েছে।শুধু কলকাতা নয়, সারা রাজ্যেই রবিবার জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ - সর্বত্রই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দু'তিন ডিগ্রি নীচে রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তরবঙ্গও। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ সর্বত্র জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। তার ফলে বর্ষশেষের আগে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে কনকনে ঠান্ডা থাকবে। তাপমাত্রা তেমন না কমলেও গোটা রাজ্যেই ভালোমতোই শীত অনুভূত হবে। সর্বত্রই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কম থাকবে। তার ফলে জাঁকিয়ে শীতের মধ্যে বছরের শেষ কয়েকটি দিন কাটবে। একইসঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্জার প্রভাবও পড়বে বঙ্গে। তার জেরে বঙ্গে আরও এক দফায় জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।