হুগলির ত্রিবেণী প্রাচীন এক তীর্থস্থান। কথিত আছে—গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, ⭕তিন নদীর সঙ্গমস্থল বলেই এই জায়গার নাম ত্রিবেণী। যদিও এখন তা দেখা যায় না বলেই এলাকাবাসীর দাবি। তবে এখানের ধর্মীয় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেনে ত্রিবেণীতে হয়েছে পুণ্যস্নান। যা আসলে ‘কুম্ভস্নান’ বলে দাবি করছেন আগত সাধুসন্তরা। এমনকী আগামী বছরগুলিতে নির্দিষ্ট দিন–তিথি মেনে এখানে ‘কুম্ভস্নান’ চলবে বলে জানিয়েছেন সাধুরা।
কেমন পরিকা♕ঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে? এখানে পুণ্যার্থীর স্নানের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে স্থানীয় বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এবং কেএমডিএ। ত্রিবেণী এলাকার মোট ১১টি গঙ্গার ঘাট সং♏স্কার এবং সৌন্দর্যায়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এবং কেএমডিএ যৌথভাবে এই কাজ করবে। ঘাটের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন এখনই শুরু করে দিতে চাইছে প্রশাসন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বাঁশবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর, গত বছর প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এখানে ‘ꦕকুম্ভস্নান’ করতে হাজির হয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ত্রিবেণীর সঙ্গমস্থল ছাড়াও এই এলাকায় হংসেশ্বরী মন্দির,🃏 নেতা ধোপানির ঘাট, বেহুলা–লখিন্দরের ঘাট–সহ বেশ কিছু দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে। সেগুলির সংস্ক🎃ার করা হবে।
কী বলছেন পুরসভার চেয়ারম্যান? এই বিষয়ে কেএমডিএ অফিসে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁশবেড়🎀িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। তিনি বলেন, ‘কুম্ভস্নানের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছি আমরা। সবার আগে ঘাটগুলি সংস্কার এবং সাজিয়ে তোলার কাজ করা হবে।’ সপ্তগ্রামের বিধায়ক তথা পুরসভার তত্ত্বাবধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি বরাবর যত্নবান আমরা। ত্রিবেণীর ঘাট সংস্কার–সহ অন্যান্য কাজ করা হবে।’