আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্🅘দেশে সদ্য কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে ভাঙড়। তবে সেখানে থানার কাজকর্ম চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ। যখন তখন হচ্ছে লোডশেডিং। তারফলে থানার গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হচ্ছে। মাঝপথেই আটকে যাচ্ছে একাধিক কাজ। বিশেষ করে অনালাইনে তথ্য নথিভুক্ত থেকে শুরু করে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভাঙড় ডিভিশনের থানাগুলি। এই অবস্থায় সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে জেনারেটর কিনছে লালবাজার।
আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশের ১০০ কনস্টেবলকে পাঠানো ꦡহবে ভাঙড় এলাকায়
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় ডিভিশনের ৪টি থানা পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে জেরবার। এছাড়াও ডেপুটি কমিশনারের অফিস এবং ভাঙড় ট্রাফিক গার্ডেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই থানাগুলির কাজ যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১০ কেবি ক্ষমতা সম্পন্ন ৬টি জেনারেটর কিনবে লালবাজার। ইতিমধ্যে দরপত্র ডাকা হয়েছে। এই জেনারেটরগুলি কেনার জন্য ১৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা দাম ধার্য করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন লোকসভা ভোটের আগেই জেনারেটরগুলি কেনার পর 🐽সেগুলি নির্দিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হব🅠ে।
প্রসঙ্গত, ভাঙড় ডিভিশনে ৮টি থানা তৈরি করার কথা। যার মধ্যে এই ৪টি থান🔥া তৈরি হয়েছে। বাকি থানাগুলি এখনও কাজ শুরু করেনি। পুলিশের মতে, বিদ্যুৎ না থাকলে এই জেনারেটরগুলির সাহায্যে কাজ চালানো সম্ভব। মূলত লোকসভা নির্বাচনের সময় থানার কাজে যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে, যে জেনারেটরগুলি কেনা হচ্ছে সেগুলি শব্দবিহীন। ফলে তাতে শব্দ যন্ত্রণার কোনও সমস্যা থাকবে না। তাতে থানার কাজ যেমন ব্যাহত হবে না, তেমনি লোকসভা ভোটের আগে থানার গুরুত্বপূর্ণ কাজেও কোনও সমস্যা হবে না। তাছাড়া সামনেই গরমকাল। ফলে ✨বিদ্যুৎ না থাকলে আরও সমস্যার মধ্যে পড়বেন পুলিশ কর্মীরা। এই অবস্থায় জেনারেটর থাকলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার সমাধান হবে। লালবাজারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।