কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে তরুণীর বিবস্ত্র অর্ধ দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে এবার তরুণীর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ। যদিও বুধবারই তরুণীর মা জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে আস্থা 🍸নেই তাঁদের। সিবিআই তদন্ত চান তিনি। তার পরেও তদন্তে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না নদিয়া জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তরুণীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপারের অফিসের ৫০০ মিটারের মধ্যে পূজা মণ্ডপ থেকে বুধবার সকালে তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। তরুণীর মুখ ছিল অ্যাসিড দিয়ে✃ ঝলসানো। মঙ্গলবার রাতে তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এর পর এক বান্ধবীকে একই কথা জানিয়ে ভয়েস মেসেজ করেন তিনি। যদিও পরিবারের দাবি, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণীকে। তার পর পরিচয় গোপন করতে তাঁর মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূ♔ত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। তার পর রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কী ঘটেছে তা বিস্তারে খতিয়ে দেখছে𒉰ন তদন্তকারীরা। ওই সময় তরুণী কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে কে বা কারা ছিল সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জোগাড় করা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেই সময় তরুণীকে যারা দেখেছিলেন তাঁদেরও জেরা করছেন তদন্তকারীরা। তরুণী ও অভিযুক্তের বন্ধুদেরও জেরা করছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ ܫআরও জানতে পেরেছে, ৪ মাস আগে তরুণীর সঙ্গে রাহুল বসুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে রাহুল বেঙ্গালুরুতে কর্মরত হ♊ওয়ায় মূলত ফোনেই যোগাযোগ ছিল তাঁদের। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের আর্থক লেনদেন হয়েছিল। তার জেরেই খুন কি না জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।