বাংলায় ক্ষমতা হারানোর পর থেকে দেশে ক্🉐রমশ দূর্বল হয়ে পড়েছে বামেরা। তার আবার স্বমহিমায় ফিরে আসতে গেল বাংলায় ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে সর্বাধিক সচেষ্ট হতে বলে মনে করেন প্রবীণ বাম নেতা প্রকাশ কারাত। সোমবার বর্ধমানের লোকসংস্কৃতি মঞ্চে নিরুপম সেন স্মারক বক্তৃতায় এই মত প্রকাশ করেন তিনি। এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলেরও সমালোচনায় সরব হন কারাত।
তাঁর কথায়, কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাম🌳পন্থীদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। কিন্তু এ রাজ্য ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর দেশের অন্যত্র বামপন্থীরা ক্রমশ দূর্বল হয়েছে। এই অবস্থা বাংলায় বামেদের ক্ষমতায় আসাট𝄹া জরুরি বলেই মনে করেন কারাত।
বক্তব্যের একটি বড় অংশ জুড়ে বিজেপির সমালোচনা করে প্রবীণ সিপিএম নেতা বলেন, শুꦛধুমাত্র সবধর্মের স্বাধীন সত্ত্বা বজায় রাখার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতা জরুরি নয়। শ্রমিক-মজুর-সহ খেটে খাওয়া মানুষের অস্তিত্ব বজায় রাখতে ধর্মনিরপেক্ষতা জরুরি। তাঁর মতে বিজেপি ও তার হিন্দুত্ব নীতি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আঘাত করেছে। তাঁর কথা উঠে আসে তৃণমূল প্রসঙ্গও। কারাত বলেন,মানুষের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়েই সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল। দেশের সামনে যেমন বড় বিপদ বিজেপি তেমনি রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি সমান ক্ষতি💟কর। ত্রিপুরায় যেমন ভোট লুট করছে বিজেপি তেমনি একই কায়দায় বাংলা ভোট লুট করছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল মূলত আঞ্চলিক দল। কমিউনিস্টদের দমিয়ে রাখাই এদের মূল উদ্দেশ্য। দু’বার সরকার চালাবার পর এদের জনবিরোধিতা স্পষ্ট হচ্ছে।’
প্রকাশ কারাত কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্🐷গ উল্লেখ করে বলেন, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ🦩্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের এক জোট করার চেষ্টা চলেছে। যার জেরে ঐতিহাসিক রূপ পায় কৃষক আন্দোলন। তা হলে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়া তৃণমূলের সঙ্গে কেন হাত মেলানো যাবে না ? কারাতের মতে, রাজ্যগুলির চরিত্র আলাদা ইস্যুও আলাদা। তাই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, বাম গণতান্ত্রিক দলগুলিকেই এ ব্যাপারে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।