ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামল বামপন্থী ছাত্র–যুবরা। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়🌼ার পাঁচলা। এলোপাথারি ইটবৃষ্টিতে জখম হন প্রচুর পুলিশ কর্মী। যদিও আমাদের কেউ ইট ছো♓ড়েনি বলে জানালেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পুলিশের গাড়িতে থাকা নথি পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী ছাত্র–যুবরা। এমনিতেই আজ পুলিশকে বাধা পেতে হয় আনিস খানের দেহ সমাধিক্ষেত্র থেকে তুলতে গিয়ে। তখন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে দেহ নিয়ে যেতে দেয়নি। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল পুলিশকে। এবার রানিহাটি থেকে পাঁচলায় পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছি❀ল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। মিছিল পাঁচলায় পৌঁছতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেডের বাধায় ক্ষোভের আগুন চরমে পৌঁছয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
এই পরিস্থ൩িতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ঘটনাস্থলে আসতে হয় দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে। কারণ গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, ইটবৃষ্টি করতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটক করা হয় মীনা♊ক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ একাধিক বাম নেতাকে। এই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একের পর এক পুলিশ গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল। এই ঘটনায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘আসল ল🌄োককে গোপন করে অন্য লোককে গ্রেফতার করা হয়ে✤ছে। তকতে থেকে অনেক কথাই বলা যায়।’ এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, ‘ওসি–কে যেমন ছুটিতে পাঠাতে হয়েছে, তেমন পুলিশ সুপারকেও ছুটিতে পাঠাতে হবে। কেউ ঠেকাতে পারবেন না। যতই স্ত্রী বিধায়ক হন।’