আজ মঙ্গলবার দুয়ারে সরকারের শিবির করা হল পূর্ব বর্ধমানের কালনার যৌনপল্লীতে। এই শিবিরের মাধ্যমে যৌনকর্মীদের কাছে বিভিন্ন রকমের সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কালনা মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগত। উল্লেখ্য, আশেপাশের এলাকাতে দুয়ারে সরকারের শিবির হলেও সে ক্ষেত্রে 🦄অনেক যৌনকর্মী সামাজিক কার𝓡ণে সেখানে পারেন না। সেই কারণেই তাদের কথা ভেবে যৌনপল্লীতে দুয়ারে সরকারের শিবির করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এখন এই পেশায় আইনি স্বীকৃতি মিলেছে। স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলায় অবস্থিত এই যৌনপল্লীতে যৌন পেশায় যুক্ত ৪৭৮ জন যৌনকর্মীর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে কালনা কলেজে দুয়ারে সরকারের শিবির চলছে। তবে লোক লজ্জার কারণে সেখানে যেতে পারেননি অনেক যৌনকর্মী। সেই কারণে আজ সেখানে যৌনপল্লীতে দুয়ারে সরকারের শিবিরের মাধ্যমে সেখানকার যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ আরও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। যারা এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি তাদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। আবার নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরেও অনেকে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন না। সে বিষয়ে তাদের পুনরায় আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখান🎀𓃲ে দুয়ারে সরকারের শিবির হওয়ায় খুশি যৌনকর্মীরা।
উল্লেখ্য, আজ এই পর্যায়ের দুয়ারে সরকারের শিবিরের শেষ দিন। আগামীকাল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। যৌনপল্লীতে শিবির করার ফলে সেখানকার যৌনকর্মীরা উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অনেক যৌনকর্মীর আধার কার্ড নেই। তাছাড়া অনেকের আধার কার্ডে ভুল ভ্রান্তি রয়েছে। ফলে স্কুলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ছဣেলেমেয়েদের সমস্যা হচ্ছে। সেই সব বিষয়ে দুয়ারে সরকারে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে।