জল প্রকল্পেরℱ উদ্বোধনে গিয়ে অধীর চৌধুরীকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রেই ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চাপে পড়ে গেলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের রাজনীতিতে এসে পড়েছেন ইউসুফ পাঠান। তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে এই কেন্দ্র বরাবর অধীর চৌধুরীর কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে জিতে চলেছেন। বিক্ষোভকারী কর্মীদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে খবরে থাকতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসেন অধীর। যদিও সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ তোলেন অধীর। এই গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বোধন না করেই ফিরতে হয় লোকসভায় কংগ্রেসের নেতাকে।
এদিকে এবার নিজের গড়েই অধীর চৌধুরীকে গো–ব্যাক স্লোগান শুনতে হল। যা তিনি ভাবতেও পারেন না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি উঠতে থাকে। আক অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন সকলে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর অꦗভিযোগ, ‘আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ করার জন্য এই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম থাকা সত্ত্বেও জেলাশাসক সাংসদ কোটার টাকা খরচের অনুমোদন দিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: প্রথম দফার প্রার্ಞথী তালিকা প্রকাশ বিমান বসুর, বামেদেরꦬ ১৬ জনের মধ্যে ১৪টিই নতুন মুখ
অন্যদিকে বুধবার বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে একটি স্কুলের কাছে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য জল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যান বহরমপুরে কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেখানেই জড়ো হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বলে অভিযোগ। লোকসভা নির্বাচনের আগে জল প্রকল্পের উদ্🔯বোধন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন অধীর। এসবের কোনও কার্যকারিতা নেই। অধীরকে তখন গো–ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূলকর্মীরা। পরিস্থ💎িতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। তখন প্রকল্পের উদ্বোধন না করেই ফিরে আসেন বহরমপুরের সাংসদ।
এছাড়া এই পরিস্থিতিতে অনেকে বলতে থাকেন একটা প্রকল্প উদ্বোধন নিজের গড়ে করতে পারেন না সাংসদ, তিনি নাকি আবার জিতবেন। এখানে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হওয়ায় চাপ বেড়েছে অধীরের। তার উপর এমন ব্যাকফুটে যাওয়া বাড়তি সংযোজন বলে মনে করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারী তৃণ🐓মূল কংগ্রেস কর্মী আশিস বিশ্বাস বলেন, ‘কাজের সময় সাংসদকে পাওয়া গেল না। এখন ভোটের সময় রাজনীতি করতে এসেছেন। উন্নয়ন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা করে চলেছে। তাই ওখানে কংগ্রেসের রাজনীতি করে লাভ না।’ যদিও পাল্টা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘জেলাশাসক ইচ্ছা করেই দীর্ঘদিন প্রকল্পের ছাড়পত্র দেননি। ছাড়পত্র মিলতেই উদ্বোধন করতে এসেছি। কিন্তু তা করতে দিচ্ছে না তৃণমূল।’