আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থে♌কে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে আত্মঘাতী হল এক পড়ুয়া। প্রজাতন্ত্র দিবসে সকলেই যখন পতাকা উত্তোলন ঘিরে ব্যস্ত ছিলেন সেই ফাঁকে ক্লাবের ভিতরে ঢুকে গঁলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আত্মঘাতী পড়ুয়ার নাম রোহিত রুইদাস (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান থানার বিধানপল্লী এলাকার বিধানপল্লী অ্যাথলেটিক ক্লাবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে ওই পড়ুয়া সকলের নজর এড়িয়ে ক্লাবের ꦍভিতরে ঢুকে গেল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, রোহিতের বাড়ি ক্লাব থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত। প্রতিবারের মতো এবারও ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তা নিয়ে সকলে ব্যস্ত ছিলেন। সেই অবস্থায় সকাল ৯ টা নাগাদ ওই ক্লাবের দোতলার চিলেকোঠায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রোহিতকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তারা রোহিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে, এই ঘট⛄নায় খবর দেওয়া হয় তার পরিবারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোহিতের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? কেন ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করল? তাছাড়া ꦍএর পিছনে অন্য গল্প আছে কি না সেই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
ক্লাবের এক সদস্য জানান, ‘আমরা ৯টার আগে পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এরপর পতাকা উত্তোলন সেরে বাচ্চাদের লাড্ডু বিতরণ করি। ওই ছেলেটিও লাড্ডু নিয়েছিল। তারপর ক্লাবে তালা মেরে দিয়ে আমরা চলে যায়। পরে আমরা খবর পাই ক্লাব থেকে এরকম এক নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে𓄧।’ ক্লাবের ভিতরে কীভাবে ঢুকল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে ক্লাবের ওই সদস্য জানান, ক্লাবের দরজায় তালা দেওয়া থাকে। তবে ক্লাবের নিচে জিম আছে। সেই জিমের গেটের সাহায্যে ক্লাবে প্রবেশ করা যায়। তা দিয়ে কোনওভাবে ক্লাবের দোতলায় প্রবেশ করেছে ছাত্রটি। তাছাড়া ঘটনার আগে এই পড়ুয়া খেলছিল তারপরে হয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান।