বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া অর্ণব ঘড়াই এবার মাধ্যমিকে যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছেন। সেই অর্ণব সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, সাধারণ ভাবেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। কোভিডের জেরে অবশ্য এবছর বেশির ভাগ সময় অনলাইনেই ক্লাস করতে হয়েছে। অর্ণবের বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি✤তে। তিনি জানিয়েছেন, করোনায় ▨বাড়ি চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় স্কুলের শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাস নিতে শুরু করেন। তাতেই পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছিল সে। তাই সাফল্যের কৃতিত্বও স্কুলের শিক্ষকদেরই দিয়েছে সে।
অর্ণব আজ বলেন, ‘স্কুল থেকে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করানো হত। আলাꦿদা কোনও সমস্যা থাকলে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষকরা ‘ডাউট ক্লিয়ার’ করতে পদক্ষেপ করতেন, খুবই সাহায্য করতেন।’ অর্ণব জানান তাঁর মোট চারজন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। ইংরেজি, অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের জন্য অর্ণবের গ🍸ৃহশিক্ষক ছিলেন। অর্ণব জানান, ভবিষ্যতে তিনি ডাক্তার হতে চান। অর্ণব জানান যেহেতি রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি নেই, তাই তিনি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছেন।
অর্ণব জানান, ডাক্তার হওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে তিনি শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এখানে (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিসন স্কুল) যে শিক্ষকরা পড়ান তাঁরা খুবই ভালো। পাশাপাশি সফল হতে গেলে নিজেকেও পড়তে হবে।’ এদিকে বাড়ি ছেড়ে হোস্টেলে থাকা প্রসঙ্গে অর্ণব জানান, তাঁর ভালো লাগছে। হোস্টেলে নতুন ♎বন্ধু হয়েছে অর্ণবের। তাঁর সঙ্গে হোস্টেলে বন্ধুরা থাকায় তাই একা অনুভব হয় না।
এদিকꩵে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অর্ণব বলেন, ‘যেভাবে অন্যসময় পড়ি, মাধ্যমিকের জন্যও সেভাবেই পড়াশোনা করেছিলাম। পরীক্ষার আগে কয়েকমাস খুব খেটেছিলাম।’ অর্ণব জানান, যখন তিনি পড়াশোনা করতেন না, তখন গল্পের বই, বিশেষত ইংরেজি গল্পের বই পড়তে তিনি♉ ভালোবাসতেন।