গণপিটুনি এবং সালিশি সভায় ডেকে মারধরের অভিযোগ বারবার উঠছে বাংলা জুড়ে। তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার কড়া বার্তা দিলেও তা থামছে না। কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর যেন সালিশি সভা না বসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু আবার দেখা গেল, সালিশি সভা বসিয়ে যুবক–যুবতীকে মারধর করা এ🦩বং হেনস্থার অভিযোগ উঠল। মালদার কালিয়াচক থানার বামনগ্রাম মোসিনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এ𝐆লাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুলাই। তবে এখনও অধরা রয়েছে ৮ জন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক–যুবতীর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে সন্দেহ। তাই তাঁদের গত ১২ জুলাই সালিশি সভায় ডাকা হয়। ১২ তারিখ সকালে এবং রাতে দুটি সালিশি সভা বসে। সেই সালিশি সভায় তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এম⛎নকী তাঁদের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরদিন আবার তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদ করলে গাছে বেঁধে রাখা হয়। তারপরে মাথা ন্যাড়া করে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গোটা এলাকা ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ। আক্রান্ত যুবক–যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপির হাইভো🌺ল্টেজ বৈঠকের আগে ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে, কাঠগড়ায় রাজ্য নেতৃত্ব
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ ওই যুবক–যুবতীকে উদ্ধার রে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তারপর তাঁদের বয়ান শুনে ওই ঘটনဣায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ জুলাই ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। আর সওয়াল–জবাব শেষে ধৃতদের ২০ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বি🌼চারক। এই ঘটনা নিয়ে সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল জানান, ওই যুবক–যুবতী আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে আর একজনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিয়েও করেন তাঁরা। এই যুবক রাঁচিতে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। আর যুবতী বসবাস করেন কালিয়াচকে। স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন যুবক সেদিন। সেটা জানতে পারেন যুবতীর প্রাক্তন স্বামী। তিনি বিষয়টি সালিশিতে জানান।