সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মিড–ড๊ে মিলের খꦿাবার দেওয়া হবে মুরগির মাংস এবং ফল। তার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার মালদার স্কুল দিয়ে এই নতুন মেনু শুরু হল। রাজ্যের বহু স্কুলে এখন ডাল,ভাত–সহ সবজি মেখে খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেখানে মালদার বার্লো গার্লস প্রাথমিক স্কুলের মিড–ডে মিলে ভাত আর মাংস দেওয়া হল। সঙ্গে দেওয়া হল ফলও।
এদিকে পিএম পোষণ প্রকল্পের আর্থিক খরচ ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে সিএজি অডিটের বিশেষ টিম। এর আগে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। তাঁরা এসে তেমন কিছু পায়নি।ܫ এই প্রকল্পে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে এবার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাই কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগকে অডিটের অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে মিড–ডে মিলে উন্নতমানের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ সরকারি নির্দেশিকা মেনেই এই স্কুলে শুরু হ꧟ল স্বাস𝄹্থ্যকর মিড–ডে মিল। এরপর থেকে প্রত্যেক সরকারি প্রাথমিক স্কুলে তা চালু করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন বার্লো গার্লস প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন করে ডিম এবং পুষ্টিকর সবজি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার তার সঙ্গে মিড–ডে মিলে মাংস দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হল। আর দেওয়াও শুরু হল।
ঠিক কী ঘটেছে মালদার স্কুলে? মালদা শহরের নামকরা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম বার্লো গার্লস প্র🔴াথমিক বিদ্যালয়। এখানে ৬০০ জন পড়ুয়া রয♏়েছে এই স্কুলে। স্কুলের পরিচ্ছন্নতা–সহ রান্নাঘর পরিষ্কার করেই শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর মিড–ডে মিল। এই বিষয়ে স্কুলের এক শিক্ষক উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘সমস্ত কিছু নির্দেশিকা মেনেই স্কুলের বাচ্চাদের মিড–ডে মিল দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক মেনুতে যেমন রাখা হয়েছে মাংস, ডিম তেমনই প🥂ুষ্টিকর শাক–সবজি ও ফলও দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুলের টিফিনে মাংস–ভাত খেয়ে খুশি উপচে পড়েছে খুদে পড়ুয়ারা𓆉।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে এসে পরিদর্শন করেছে মিড–ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রীয় দল। জয়🅠েন্ট রিভিউ মিশনের অধীনে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাজ্যে পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন করে এই রাজ্যের মিড–ডে মিল কেমন চলছে তা দেখতে একাধিক জেলাও ঘুরেছে এই প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, রাজ্যে গত ৩ বছরে এই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। তাই ক্যাগকে 𒊎নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিসাব খতিয়ে দেখার জন্য। আর ক্যাগের রিপোর্ট হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।