সাম্প্রতিককালে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি নেতাদের বেসুরো হওয়ার ঘটনা খুবই 'স্বাভাবিক'। তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাবড় নেতারা ক্ষমতাসীন ঘাসফউল শিবিরে ফুরতে মুখিয়ে রয়েছেন। ভোটের ফলের পর থেকেই বদলে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ। বাংলার চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় ফিরে গিয়েছেন পুরোনো দলে। তারপর থেকেই বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে বেসুরে গেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন সব্যসাচী। আর সম্প্রতি লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে সরব হন সব্যসাচী। আর এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি ফোন করেন বিধাননগরের🙈 বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে। সুজিতের কাছে নাকি মমতা সরাসরি জানতে চান যে সব্যসাচী দলে এলে সুজিতের কোনও অসুবিধা রয়েছে কি না।
তৃণমূলে ফেরা প্রসঙ্গে অবশ্য সব্যসাচী কোনও শব্দ ব্যয♚় করেননি। এদিকে সব্যসাচী প্রসঙ্গে নাকি মমতাকে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন সুজিত বসু। তবে সূত্রের খবর, সুজিত নাকি জানিয়েছেন, মমতার সিদ্ধান্ত তিনি মাথা পেতে নেবেন। উল্লেখ্য, পুজো মিটলেই পুরভোট হতে পারে। সেই আবহে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচীর দলবদল নিয়ে অঙ্ক কষছে তৃণমূল।
২০১৯ সালের অক্টোবরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ꦓহিসেবে পরিচিত সব্যসাচী ২০২১ সলের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিধাননগর থেকে লড়ে হেরে যান তৃণমূলের সুজিত বসুর কাছে। এদিকে তৃণমূল ছাড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্কের জোরে সব্যসাচীকে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদ খোয়াতে হয়েছিল। এখন বিধাননগরের পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এই আবহে ফুল বদল হলে সব্যসাচীকে পুরোনো পদে বসানো হবে কি না, বা আসন্ন পুর নির্বাচনে তাঁকে মেয়র পদপ্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।