গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এদিকে গোটা বাংলার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে নানꩲা অ𝐆ভিযোগ। পুরানো নানা কথা উঠে আসছে আলোচনায়। সূত্রের খবর, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। বদলি থেকে নিয়োগ সর্বত্র ছিল তাঁর দাপট। আর সেই দাপটে কার্যত তটস্থ হয়ে থাকত গোটা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, আসলে চিরকুটের খেলা দেখাতেন মানিক ভট্টাচার্য। চিরকুটেই তিনি লিখতেন কয়েকটা নাম। অভিযোগ সেই চিরকুটের নাম দেখেই নিয়োগ করা হত। বিরোধীদের অভিযোগ গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন মানিক ভট্টাচার্য। তারই অঙ্গুলিহেলনে চলত সব🉐টা।
এদিকে ২০১৪ সালের টেটের পরপরই শিলিগুড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান বার বার পদত্যাগ করতে চাইতেন। একটা সময় তাঁর পদত্যাগের আবেদনকে মান্যতা দেওয়া হয়। আর ইস্তফা দেওয়ার পরেই তখন কার্যত তাঁর মুক্তির আনন্দ। এমনকী অনেকের মতে, সেই আনন্দে তিনি তৎকালীন এক মন্ত্রীকে কোট প্যান্টও উপহার পাঠিয়েছিলেন। পুরোটাই নাকি মুক্তির আনন্দে। তবে কি মানিক ভট্টাচার্যের অনিয়মের বৃত্ত থেকে মুক্তি পাওয়ার๊ জন্যই তিনি এমন হাঁসফাঁস করতেন?
বির🐻োধীদের দাবি মানিক ভট্টাচার্য বার বার শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় যেতেন। বহু তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার পেছনে ছিল ম🌜ানিক ভট্টাচার্যের করুণার হাত। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী উত্তরবঙ্গে তৎকালীন এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সাংবাদিক ও তাঁদের স্ত্রীরা দলে দলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের সেই চাকরির পেছনেও কি ছিল মানিকের হাত?