কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরবাড়ির অন্দরে এনিয়ে নানা চর্চা। প্রশ্ন উঠেছে নাগরিকত্ব ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এটা আঁচ করেই ও মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার লক্ষ্যেই কী এবার শান্তনুকে মন্ত্রীত্বের চেয়ার দেওয়া হচ্ছে? তবে সব মিলিয়ে যাবতীয় উদ্যোগকে ঘিরে শান্তনুকে নিশানা করে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘মতুয়ারা যে উচ্ছাসে মেতে উঠেছে একথা আমরা দেখিনি। এমপি হওয়ার পরেও মানুষের মধ্যে যে আশা ছিল সেটা তিনি পূরণ করতে পারেননি। এমপি হওয়ার পরেও মানুষের আশা তিনি পূরণ করতে পারবেন এমনটাও নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে যেভাবে ঢেলে দিয়েছে তাতে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশে আছেন, আগামীদিনেও থাকবেন। মিনিস্টার হওয়ার পরেও যদি কাজ না করতে পারেন তার কোনও মূল্য নেই। শান্তনু ঠাকুর কিছু করেননি। এই তো সেদিন এক রোগী এসে বললেন তিনি শান্তনু ঠাকুরের কাছে গিয়েছেন কিন্তু কোনও কোনও সুরাহা পাননি।’কিন্তু মন্ত্রী হয়ে ফিরে আসার পরেও তাঁকে কি শুভেচ্ছা জানাবেন মমতাবালা? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর কোনও বিষয় নয়। এমপি হওয়ার পরেও কোনও কাজ করতে পারেননি।১০০ শতাংশ নিশ্চিত তিনি মন্ত্রী হওয়ার পরেও মতুয়াদের কোনও উন্নতি হবে না। দুবছর পেরিয়ে গেলে উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাই পূরণ হল না এখনও। কোনও মতুয়ারা বলছেন না শান্তনু ঠাকুর মন্ত্রী হলে তাঁদের খুব আনন্দ হবে। এটাতে শান্তনু ঠাকুরের ব্যক্তিগত লাভ হবে। মতুয়াদের কিছু হবে না।’