করোনাভাইরাস রোধে জারি করা💯 লকডাউন বিধি যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের ৭টি জেলায় সরেজমিনে ঘুরে দেখতে বিশেষ আন্তঃ-মন্ত্রক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে꧅ আগামী ৩ মে পর্যন্ꦬত দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন যথাযথ পালনের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশাবলী প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
তা সত্ত্বেও বাংলার বেশ কিছু অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সামাজিক দূরত🌊্ব বিধির তোয়াক্কা না করে দোকান, বাজার, ব্যাঙ্ক ও ওষুধের দোকানে জনসমাগম হচ্ছে। একাধিক জায়গা থেকে স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অমান্য করে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এবং যথেচ্ছ যান চলাচল রোখার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের হিসাবে বাংলায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৩৩৯
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান সচিবকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘লকডা♔উনের শর্তাবলী লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যে♛র পক্ষে খুবই বিপজ্জনক এবং তাতে COVID-19 সংক্রমণের ভয়াবহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে যে, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছয়টি কেন্দ্রীয় আন্তঃ-মন্ত্রক তদন্তকারী দল (IMCT) গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই দলগুলি উল্লিখিত বাংলার ৭টি জেলায় সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জনস্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারকে সবিস্তারে রিপোর্ট জমাꦜ দেবে।
বলা হয়েছে, IMCT-র প্রধান কাজ হবে নির্দিষ্ট অ❀ঞ্চলগুলিতে লকডাউন বিধি যথাযথ পালন করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা এবং শ্রমিক ও দরিদ্রদের জন্য ত্রাণ শিবির গঠনের মতো বিষয়গুলি সঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা।
এ ছাড়া, পরিস্থিতি ব♑িচার করে রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেবে IMCT। পাশাপাশি, এই বিষয়ে কেন্দ্রীযဣ় সরকারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট জমা দেবে দলগুলি।