তিনি বীরভূমের বাঘ। এই আখ্যা দিয়েছিলেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। সেটা একেবারে নাম করেই। সেই বাঘ অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে বন্দি। সেই অনুব্রতর নাম না করে বীরভূমের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়ের দাবি, বাঘ যদি বাঘের মতো থাকে, বিরল প্রজাতির হয় তাহলে আমাদের দায়িত্ব থাকে সংরক্ষণ 🧸করা। কিন্তু কোনও কারণে বাঘ যদি মানুষখেকো হয়ে যায় তাহলে বা🍸ঘকে মেরে চামড়া দেওয়ালে টাঙিয়েও রাখতে হয়।
তবে নাম না করে বললেও বীরভূূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি কাকে নিশানা করেছেন তা বুঝতে ভুল করেননি অনেকেই। কিন্তু রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি যেভাবে মানুষখেকো বাঘ মারার কথা বলেছেন তা আঘাত করেছে পশুপ্রেমীদের🀅। অনেকের মতে, বর্তমানে কোনও অবস্থাতেই বাঘকে মারা যায় না। সেক্ষেত্রে একজন দায়িত্বশীল নেত্রী হয়ে কীভাবে তিনি বাঘ মারার নিদান দিচ্ছেন?
নাম না করে সেই বীরভূমের বাঘকে নিশানা করলেন বাম নেত্র🌊ী। বীরভূমের মহম্মদ বাজারে সিপিএমের সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেষ্ট মণ্ডলকে নাম না করে নিশানা করেন মীনাক্ষী। তবে তাঁর এই কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মীনাক্ষী কী বলল তাতে মানুষ বিশ্বাস করে না। বাঘ বাঘই থ🐎াকে, শিয়াল সারাজীবন শিয়ালই থাকবে।
এর আগে রামপুরহাটের সভা থেকে ফিরহাদ বলেন, বাঘ যখন একদিক থেকে অন্য়দিকে চলে যায় তখন শেয়ালগুলো লাফালাফি করে। আবার বা🌠ঘ যখন আসে তখন শেয়ালগুলো পালিয়ে যায়। বীরভূমের বাঘকে কিছুদিনের জন্য় খাঁচায় রেখেছ। সারাজীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে আজ যে শেয়ালগুলো হুক্কা হুয়া করছে তারা আবার ঢুকে যাবে। তার মানে এটা নয় যে তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার তোমার এসে গিয়েছে, বিজেপি। কারণ তোমার থেকে বড় চোর ভারতღে আর কেউ নেই। লটারি পেল কেন? বলা হচ্ছে। আরে তোমরা কেন পেল না সেই ভাগ্যটা দেখ।
এদিকে ফিরহাদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এতদিন বিতর্ক কিছু কম হয়নি। এবার মীনাক্ষী🍷 সেই বক্তব্যকে যেন অন্য মাত্রা দিতে গিয়🐻ে, কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।