পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার সময়সীমা বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ভোট পরবর্তী হিংসা কিছুতেই থামছে না। বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে এমন খুনের ঘটনা। গতকাল রাতে নাকাশিপাড়ায় এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে বাড়ি থেকে ডেকে কুপিয়ে খুন꧙ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এবার প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুর এলাকায় এভাবে খুনের ঘটনা ঘটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মহরমের মুখে এমন খুনে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
এদিকে নিহত তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মৈমুর ঘর❀ামি ওরফে ময়না (৪০)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের অর্জুনপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তবে মৈমুরের পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন তাঁরই প্রতিবেশী শাজাহান মোল্লা নামেও এক ব্যক্তি। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। মগরাহাট থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আজ, শনিবার সকাল থেকে থমথমে মগরাহাটের অর্জুনপুর এলাকা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এই 🍨এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে আজ এখানের চায়ের দোকান থেকে বাজারহাটে চর্চিত হচ্ছে ঘটনাটি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে স্♈থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মৈমুর ঘর𒀰ামি। বাড়ি অদূরে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ফেলে। আর মৈমুরকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহ গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকী মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মৈমুরের চিৎকার শুনে তাঁকে বাঁচাতে আসেন প্রতিবেশী শাজাহান। তখন তাঁকেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এই দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৈমুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর গুলিবিদ্ধ শাজাহান চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে আসেন ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দে।
আরও পড়ুন: আবার কলকাতায় ডেঙ্গির জেরে মৃত্যু 🤪মহিলার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬, উদ্বিগ্ন মেয়র
ঠিক কী বলছেন এসডিপিও? এই ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে এসডিপিও মিতুল দে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে তৃণমূ𝄹ল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ছিলেন মৈমুর ঘরামি। তাঁকেই খুন করা হয়েছে। আর একজন আহত হয়েছেন। এই খুনের ঘটনায় কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম উঠে আসছে। তবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে কিছু বের হয় কিনা দেখা হচ্ছে। ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় চুরির সঙ্গে যুক্ত। চুরির কাজে বাধা দেওয়ায় শুক্রবার রাতে মৈমুর ঘরামির উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।’