🎀 স্রেফ সাহস আর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ছেলের প্রাণ বাঁচালেন এক মা। 'পরাস্ত' করলেন পেল্লায় বুনো হাতিকে! ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বন্ধ দলসিংপাড়া চা বাগানের বসত এলাকায়।
🍰এই এলাকার কাছেই রয়েছে বক্সা ও জলদাপাড়ার জঙ্গল। ফলত, হাতির হামলা এখানে লেগেই থাকে। রাতের অন্ধকারে তেমনই এক ঘটনার কবলে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা সামিনা বিবি ও তাঁর ছেলে সোহেল।
ജযেহেতু শীতের রাত, তাই মা ও ছেলে দু'জনই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। সেই সময়েই পাকা বাড়ির দেওয়ালের একটা অংশ ভেঙে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে একটি দলছুট বুনো হাতি। এতে সামিনার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন, ভাঙা দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন তাঁর ছেলে সোহেল।
🉐সোহেলের ঘুম ভেঙে গেলেও ইট, কংক্রিটের স্তূপের নীচ থেকে এক চুলও নড়ার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। এদিক, তখনও মাত্র কয়েক হাত দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হাতি। সে যদি একটু এগিয়ে আসে, তাহলেই তার পায়ের নীচে চাপা পড়ে ভবলীলা সাঙ্গ হবে সোহেলের!
⛎পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা সামিনা বিবিও ভালোই বোঝেন। তবুও মাথা ঠান্ডা রাখেন তিনি। হাতের কাছে ছিল তাঁর মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে তার আলো আগন্তুক হাতির চোখের ফেলেন সামিনা।
♎এতে হাতিটি কিছুটা হকচকিয়ে যায়। পিছিয় যায় বেশ কয়েক পা। তখনই সাহসে ভর করে ছেলের কাছে এগিয়ে আসেন সামিনা। কোনও রকমে ছেলেকে ইট, কংক্রিটের স্তূপ থেকে টেনে বের করে আনেন। তারপর ছুট দেন দু'জনে।
🦩সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, হাতির হামলায় দেওয়াল ভেঙে যাওয়ায় তিনি বুকে ও হাতে চোট পেয়েছেন। তবে, তিনি যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাতেই খুশি সোহেল। এর জন্য নিজের মাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
♑সোহেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর মা যদি সাহস এবং বুদ্ধি করে হাতির চোখে মোবাইল ফোনের টর্চের আলো না ফেলতেন, তাহলে এ যাত্রায় তাঁকে আর বাঁচতে হত না।
♈এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামিনার বাড়ি ভাঙার পর দলসিংপাড়া জটুলাইন এলাকায় চলে যায় হাতিটি। সেখানেও একটি বাড়ি ভেঙে দেয় সে। এবং তারপর নিজে থেকেই ফের জঙ্গলে ফিরে যায়।