আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত নুনির বাউড়ি পাড়া। সেখানেই থাকত দুই তুতো ভাই অশোক বাউড়ি ও বুধন বাউড়ি। এদিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে বাড়ির জামাই হারু বাউড়ির উপর। এদিকে জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে এটা আঁচ করে পিঠটান দেওয়ার চেষ্টা করে হারু। তখনই হারুকেই চেপে ধরে বাসিন্দারা। এরপর শুরু হয় গণপিটুনি। মারের চোটে অচৈতন্য় হয়ে পড়ে হারু। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গামছায় পেঁচিয়ে হারুই অশোক ও বুধনকে শ্বাসরোধ করে দেয়। এরপর তাদের জলে ডুবিয়ে খুন করা হয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হারুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে হারুকে।এদিকে কী কারণে শ্যালক ও জামাইবাবুর মধ্য়ে এই ভয়াবহ ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তর থানার পুলিশ ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটও এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে মদ্যপ অবস্থায় শালাদের সঙ্গে জামাইবাবুর মারপিট হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়তেই শালাদের গলায় গামছা জড়়িয়ে দেন জামাইবাবু।