বাংলার হাতেগোনা কয়েকটি জেলায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লকডাউন শুরু হয়নি। তাছাড়া যে জেলাগুলিতে সবথেকে কম কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ।রাজ্য সরকারের ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের চারটি এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে একটি জায়গায় পুর এলাকার মধ্যে পড়ে। বাকিগুলি গ্রামীণ এলাকার আওতাভুক্ত। মুর্শিদাবাদের চারটি কনটেনমেন্ট জোন দেখে নিন - ১) সাগরদিঘি ব্লকের সাগরদিঘি গ্রাম পঞ্চায়তের হরিহরপাড়া। ২) শামসেরগঞ্জ ব্লকের কাঞ্চনতলা গ্রাম পঞ্চায়তের রতনপুর। ৩) ধুলিয়ান পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড। ৪) হরিহরপাড়া ব্লকের চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়তের শ্রীপুর নামপুরা।রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে পরবর্তী সাত দিন কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বাজার, কলকারখানা এবং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। যাবতীয় যান চলাচলে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ জারি হবে। অনাবশ্যকীয় কাজ বা গতিবিধি সম্পূর্ণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চলবে। একইসঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের অফিসে না গেলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। যতটা সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারির বন্দোবস্ত করবে স্থানীয় প্রশাসন।উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০। মৃত্যু হয়েছে চার জনের। সেরে উঠেছেন ২২২ জন।