শিলিগুড়িতে এখন নয়া আতঙ্🌌ক হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাসিড পোকার আক্রমণ। দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ অ্যাসিড পোকার আক্রমণে বিধ্বস্ত। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন পড়ুয়াও এই পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বর্ষার পর পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। তার মধ্যেই শিলিগুড়িতে হঠাৎ হানা দিচ্ছে অ্যাসিড পোকা।
কী এই অ্যাসিড পোকা? চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, এই পোকা এক ধরনের মাছি। যাকে নাইরোবি মাছিও বলা হয়ে থাকে। এই পোকার কামড়ে একাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। নাইরো🔯বি মাছির থেকে টক্সিন নামে এক ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ বেরোয়। আর তাতেই মানুষের চামড়ায় ফোসকা পড়ে যায়। পোকাটღি কামড়ে হুল ফোটায়। পোকাটির শরীরে ‘পিডেরিন’ নামক বিষাক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যা মানুষের ত্বক এবং কোষের মারাত্মক ক্ষতি করে।
কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? এই পোকার হামলা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে দার্✨জিলিং জেলা প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। অ্যাসিড পোকা নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই বলে দাবি করছেন পুরকর্তারা। শুধু মানুষকে একটু🌳 সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই এই পোকার বাড়বাড়ন্ত প্রতিরোধ করা যাবে। বাড়ির চারিদিক ও জলাধার পরিষ্কার–পরিচ♔্ছন রাখা, সন্ধ্যের আগে বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ রাখা, ঘরে সাদা আলোর পরিবর্তে হলুদ আলো ব্যবহার করতে হবে। ঘুমোনোর সময় মশারি টাঙানো এবং আলো নিভিয়ে দেওয়া, বিছানার চাদর, 🐠বালিশ, তোষক পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে।
অ﷽্যাসিড পোকার বৈশিষ্ট্য কী? জানা গিয়েছে, অ্যাসিড পোকার রঙ লাল আর কালো। মাথার দিকটা কালো হয় আর পেট হয় লাল।🎉 ছোট্ট এই পোকার দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ১০ মিলিমিটার। অ্যাসিড পোকা কামড়ালে ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া, ব্যথা, বমিভাব, মাথাব্যথা, জ্বর হতে পারে। পোকাটি এতটাই ক্ষতিকর যে, পোকাটির সংস্পর্শে যদি কারও চোখে ক্ষত হয় সেই ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন।