নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাড়ি পৌঁছল জাতীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের দল। রবিবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় পৌঁছন NCPCRএর চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। NCPCR-এর সফর ঘিরে গোটা এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। তবে পুলিশের দাবি অনুসারে বিষক্রিয়ায় নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে চায়নি পরিবার বা গ্রামবাসীরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।শনিবার রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রায়গঞ্জ পৌঁছয় NCPCR-এর দল। সেখানে রাত্রিবাস করে রবিবার সকালে সাহেবঘাটায় পৌঁছয় তারা। NCPCR-এর সফরকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই এলাকায় ছিল ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা। মোতায়েন ছিল RAF. নাবালিকার বাড়ি পৌঁছে তাঁর মা - বাবার সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা কথা বলেন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। গোটা ঘটনাক্রম খুঁটিয়ে জানেন তিনি। এর পর জানেন পুলিশি পদক্ষেপ সম্পর্কে। পুলিশি তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট কি না তাও জানতে চান। NCPCR-কে নাবালিকার পরিবার জানায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে পরিবারটি। সঙ্গে তাঁদের দাবি, নাবালিকা বিষক্রিয়ায় মারা যায়নি। তাঁকে পাশবিক অত্যাচার করে জলে ডুবিয়ে মারা হয়েছে। NCPCR-এর কাছে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে তাঁদের দাবি, দোষীদের ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করতে হবে।শনিবার নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যায় নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বরিষ্ঠ চিকিৎসকদের ৩ সদস্যের দল দেহের ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় সেখানে হাজির ছিল নিহতের পরিবারের সদস্যরা। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, নাবালিকার দেহের পাশে বিষের কৌটো পাওয়া গিয়েছে।গ্রামবাসীদের দাবি, বিষক্রিয়ার তত্ত্ব ঠিক নয়। নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর পাশবিক নির্যাতন করে জলে ডুবিয়ে মারা হয়েছে। যে জলাশয় থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই রয়েছে ধানক্ষেত। সেখানে বিষ প্রয়োগের পর খালি কৌটো চাষিরা মাঠেই ফেলে রেখে যান। ওখানে আরও অনেক বিষের কৌটো পাওয়া যেতে পারে। এতে প্রমাণিত হয় না যে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে।