উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক নতুন ফায়ার স্টেশন গড়ে তুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখড়ি, কাল🍃িম্পঙের গরুবাথান, জলপাইগুড়ির বানারহাট সহ একাধিক জায়গায় নতুন ফায়ার স্টেশন দ্রুত গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এর পাশপাশি রাজ্যের ফায়ার স্টেশনগুলিতে আরও বহু দমকল ইঞ্জিন আনা হচ্ছে বলে তিনি জানান। সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় দমকল বিভাগের আধিকারিকসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঠেকাতে বড় পদক্ষেপ করল দমকল, ফায়ার অডিট আবশ💝্যিক করা হচ্ছে
সুজিত বসু জানান, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিত🔥ে এখনও পর্যন্ত ৪০টি ফায়ার স্টেশন আছে। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নতুন ফায়ার স্টেশন গড়ার প্রস্তাব এসেছে।তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখড়ি, কালিম্পঙের গরুবাথান তাগদা, ঝালং, সোনাদা, বানারহাট, ইটাহার প্রভৃতি। এই জায়গাগুলিতে নতুন ফায়ার স্টেশন গড়ে তোলা হবে। তবে ফায়ার স্টেশন গড়ে তুললেই হবে না এর জন্য দরকার পরিকাঠামো। সেই কথা মাথায় রেখেই ৭৫ টি দমকল তৈরি করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘জল ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এই গাড়িগুলির মাপ হল আড়াই হাজার লিটার, পাঁচ হাজার লিটার এবং ১৪০০০ লিটার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই গাড়িগুলি তৈরি হয়ে যাবে। এরপর সেগুলি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে গোটা রাজ্যে ১৪০ টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। সেই সমস্ত ফায়ার স্টেশনগুলিতে নতুন গাড়ি পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে একটি ফায়ার স্টেশন তৈরি হচ্ছে। দ্রুতই 🌠সেটির উদ্বোধন হবে🌠 বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
সুজিত বসুর কথায়, ‘উত্তর-দক্ষিণ বলে কিছু নেই। সব জায়গার জন্য সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে উত্তরে আরও নতুন একাধিক দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে।বেশ কিছু প্রস্তাবও রয়েছে। পাহাড়ের পাশাপাশি♊ সমতলের একাধিক জায়গায় নতুন করে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব এসেছে। সেগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।সেই সঙ্গে নতুন করে ৭৫টি ইঞ্জিন পথে নামানো হবে৷ আগামী প্রায় এক মাসের মধ্যেই সেসব রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দমকল কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
এছাড়াও ফায়ার লাইসেন্সের জন্য আবেদনের বিষয়ে সুজিত জানান, যে কেউ অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন ফায়ার লাইসেন্সের জ෴ন্য।জমির ꩲপরিমাপ ৫ হাজার স্কোয়ার ফুটের মধ্যে হলে ব্যবসায়ী সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনও পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া থাকবে না। তবে কেউ যদি তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন,পরবর্তীতে তা যদি প্রকাশ্যে আসে তবে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সাধারণত, ফায়ার লাইসেন্সের জন্য অনেক সময় উত্তরবঙ্গের মানুষকে কলকাতায় যেতে হত। তবে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ তৈরি করার ফলে এবার আর কলকাতায় ছুটতে হবে না ব্যবসায়ীদের।