সদ্য আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে নিমতলা এলাকায়। তার আগে শহরের নানা প্রান্তে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘꦇটেছে। এখন শীতের মরশুম আসতে চলেছে। তাই আগুন আবার লাগতে পারে। কারণ শীতের হাওয়ায় তড়িঘড়ি কাজ করতে চেষ্টা করেন মানুষজন। তা থেকে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে সেগুলি শুধু গুদাম, ওয়ার্কশপ, ছোট কারখানা, অফিস–কাছারিতে হয়ে থাকে। পরিসংখ্যানে উঠে আসছে, গত ১৫ দিনে শহরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। ট্যাংরা, নিমতলা এবং লর্ডসের মোড়ের আগুন তো আছেই। আরও কয়েকটি জায়গায় আগুন লেগেছে। তাই এবার এই অবস্থা ঠেকাতে ফায়ার অডিট ক𒆙রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দমকল বিভাগ।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঠেকাতে গুদামে অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে কিছু পদক্ষেপ🙈ের নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। যদিও তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন দমকল অফিসাররা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ নবান্ন। সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী সুজিত বসুর দফতরকে। এবার তাই কলকাতা শহরের সর্বত্রই অগ্নিবিধি মেনে ব্যবসা করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধেই না মানার অভিযোগ রয়েছে। আর তার জেরে বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। দমকল যাতে কঠোর হয় সেই আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। মুখ্😼যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার আগুন লাগা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: হার্ট অফ দ্য সিটিতে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, মালিককে গলায় ছুরির কোপ
সমস্ত দিক বিবেচনা করে শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় থাকা গুদাম, কারখানা থেকে শুরু করে শপিং মল এবং বহুতলগুলিতে প্রত্যেক বছর ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করতে চলেছে দমকল। এই আইন না মানা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুজিত বসু। দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বহুতল আরও উঁচু হচ্ছে। প্রচুর শপিং মল গড়ে উঠছে। তাই আরও ভাল এবং বড় ল্যাডার প্রয়োজন। আমরা এখন থেকে ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করছি। বছরে একবার ফায়ার অডিট করতে হবে। আমরা🌊 দমকলের আধুনিকীকরণের কাজ করছি।’
এই ফায়ার অডিট করে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে দমকল দফতরে। সেটি খতিয়ে দেখবেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেটা দেখে উপযুক্ত নির্দেশ দেবেন তিনি। আর আগ𒐪ুন নেভাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে অফিসারদের সারপ্রাইজ ভিজিটে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর আগুন লাগা এবং নেভানো নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে দমকলের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—শপিং মল, বহুতল, সরকারি অফিস বিল্ডিংয়ে জিপিএস ব্যবস্থা চালু করা হবে। আগুন লাগলে যাতে দ্রুত ফায়ার স্টেশনে খবর পৌঁছয়। ওই বৈঠকেই ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট একমাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।