ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে বিস্তীর্ণ আন্তর্জাতিক জল সীমান্তও। সুন্দরবন অঞ্চলেই রয়েছে ওই জল সীমান্ত। এই পথ দিয়ে পাচার, অনুপ্রবেশ হয় বলে অভিযোগ। এখানে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। এই নজরদারিকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে সুন্দরবন জল সীমান্তে বিএসএফের নতুন ছ’টি ভা🅠সমান সীমান্ত চৌকি তৈরি হয়েছে। এই চৌকিগুলির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লোটিং বিওপি’। বিএসএফ সূত্রে খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এগুলির উদ্বোধন করবেন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী মে মাসের শুরুতেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। প্রথমে উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন। তারপর সুন্দরবন যাওয়ার কথা রয়েছে। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে জল সীমান্তে কꦛোনও ‘কাঁটাতার’ নেই। রয়েছে ‘অদৃশ্য সীমানা’। ভারতের দিকে নিরাপত্তায় থাকেন বিএসএফ এবং বাংলাদেশের দিকে থাকে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)।
ঠিক কী জানাচ্ছে বিএসএফ? বিꦯএসএফ সূত্রে খবর, এখন সুন্দরবনের জল সীমান্𒁃তে বিএসএফের মোট তিনটি ভাসমান সীমান্ত চৌকি রয়েছে। তিনটি ফ্লোটিং বিওপি’র মাধ্যমে গোট♚া সুন্দরবন জল সীমান্ত পাহারা দে💦ওয়া মুশকিল হচ্ছিল। কাঁটাতার না থাকায় নজরদারি চালাতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই আরও নতুন ছ’টি ফ্লোটিং বিওপি’র জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ হয়েছিল। আর নতুন ছ’টি ফ্লোটিং বিওপি সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক।
ঠিক কী হবে এখানে? আগের বিওপিগুলি ছিল ছোট। এই বি☂ওপিগুলি অনেক বড়। নতুন বিওপিগুলিতে আরও বেশি জওয়ান 𓃲এবং অফিসার মোতায়েন থাকতে পারবেন। এই বিষয়ে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া বলেন, ‘নতুন ছ’টি বিওপি হওয়ায় সুন্দরবন অঞ্চলে আমাদের মোট ন’টি ফ্লোটিং বিওপি হল। জল সীমান্তে আরও কড়া নজরদারি চালানো হবে।’