মালদার বামনগোলার হাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আগেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নির্দেশ ছিল দুই মহিলাকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এনিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমি𝕴শন। এই অবস্থায় কমিশন নির্যাতিতা মহিলাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিল।
আরও পড়ুন: NHRC রিপোর্ট তলব করতেই বামনগোলা থানার IC-সহ ৪ পুল𝓰িশকর্মীকে ক্লোজ করল প্রশাসন
জꦺাতীয় মানবাধিকার কমিশন নির্দেশে জানিয়েছে, দ🍷ুই মহিলাকে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ১৮ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে। আরও স্পষ্ট করা হয়েছে, এটাই এনিয়ে শেষ নির্দেশ। আর তা এবার কার্যকর না হলে সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
মালদার ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ২২ জুলাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দুই মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। ভিডিয়𝓰ো ক্লিপে দেখা গিয়েছিল, ওই ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হচ্ছ✱ে। মূলত চুরির অপবাদে ওই আদিবাসী মহিলাদের মারধর করা হয়েছিল। এমনকী জুতো পেটা পর্যন্ত করা হয়েছিল।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেছিলেন। মণিপুরের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার তুলনা করেছিল রাজ্য বিজেপি। এই ঘটনা নিয়ে সেই সময় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পু⭕লিশ প♑াল্টা দুই মহিলার বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করেছিল। এরপরে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিরোধীরা।
এ বিষয়ে আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র জানান, রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়নি। সেই কারণে ফের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। মানব🌊াধিকার কমিশন আগামী ১৮ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, মানবাধিকার কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশ পালন করা হবে। সরকার মহিলাদের পাশেই রয়েছে। মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, সমাজ কল্যাণ দফতরকে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।