লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও রকম সম্ভাবনা আগেই খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সঙ্গে যে তারা জোটে আগ্রহী নয় তা তারও আগে দলের হাইক💧ম্যান্ডকে জানিয়ে দিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের দরজায় খিল দিয়ে এবার বামেদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বহরমপুরের টাউন ক্লাবে ২ নেতার মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস – সিপি🌃এম জোট আলোচনার ঢাকে কাঠি পড়তেই লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি কা✱ণ্ডে গ্রেফতার আরও ১𒐪, এবার কে গেলেন শ্রীঘরে?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে বহরমপুরেই রয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে প্রাথমিক আসন রফা নিয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি। বহরমপুর ট🉐াউন ক্লাবে নিরপেক্ষ জায়গায় হবে বৈঠক। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚআসনের কে কোথায় লড়বে তার প্রাথমির একটি রূপরেখা তৈরি হতে পারে এদিন। উত্তরবঙ্গে কংগ্রেস ও দক্ষিণবঙ্গে বামেরা বেশি আসনে লড়তে পারে।
কেন্দ্রীয় স্তরে ইন্ডি জোটের সদস্য হলেও রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে প্রবল অনীহা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের। সেকথা হাইকম্যান্ডকে জানিয়েও দেন তাঁরা। কিন্তু তার পরও তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরতে মুখিয়ে ছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর পর রাজ্যে কংগ্রেসকে ২টির বেশি আসন তৃণমূল ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরও আসনভাগ নিয়ে আলো𒁃চনার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বার্তা পাঠাতে থাকে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণহানি রুখতে ব্যবহা🎉র হবে কম বিপজ্জনক অস্ত্র
তবে যাবতীয় চেষ্টা শেষ হয় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করলে। যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাহুলের যাত্রায় প্রশাসনিক বাধা তৈরি করে তাতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। রাহুলের যাত্রা বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশের পর তৃণমূল নেত꧑ৃত্বের সঙ্গে আসন সমঝোতা 🦹নিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের মুখে আর কোনও উচ্চ বাচ্য শোনা যায়নি।
ওদ🧔িকে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় অধীর চৌধুরী মূল বাধা বলে চিহ্নিত করে তৃণমূল। এমনকী অধীরকে বহরমপুরে ২ লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই গোটা প্রক্রিয়ায় কংগ্রেস তথা অধীর চৌধুরীর পাশে ছিল বামেরা।
তবে মনে রাখতে হবে, বাম - কংগ্রেসের আসন সমঝোতা রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পেꦚর মতো। শেষ হইয়াও হয় না শেষ। গত বিধানসভা নির্বাচনে দীর্ঘ আলোচনার পর আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে জোটে ঢুকে পড়ে ISF. যা নিয়ে শুরু হয় নতুন জটিলতা।