সম্প্রতি গ্রামে একের পর এক বহু মানুষ সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। সেই ঘটনায় গ্রামের ১৫ মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দিয়েছিলেন মোড়ল। আর তারই প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন এক মহিলার ছেলে। একবিংশ শতকেও এরকম নক্কারজনক ঘটনা ঘটল মালদহের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ইন্দ্রসোহেলে। আক্রান্ত যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ💝াজল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার পরেই ডাইনি প্রথা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতাই নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজল ব্লক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছালেও🅰 এখনও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন রয়েছেন এখানকার মানুষজন। এই গ্রামে শিক্ষার হার মাত্র ৩০ শতাংশ। সম্প্রতি এলাকার বহু মানুষের মধ্যে সর্দি, কাশি জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এক জানগুরুকে (গুনিন) ডেকে আনা হয়। সেই গুনিন ১৫ জন মহিলাকে ডাইনি বলে অভিযুক্ত করেন। এরপর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে গ্রামের মোড়ল ওই ১৫ জন মহিলাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে গ্রাম ছাড়া করার নিদান দেন। তখনই এক মহিলার ছেলে এর🌟 প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত যুবকের কথায়, ‘গ্রামে অসুখ হচ্ছে বলে আমার মাকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়েছে। ডাইনি বলে কিছু হয় না। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ♛আমাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে।’ যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি মোড়ল দাসু হাঁসদা। তবে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী হালদার জানিয়েছেন, কুসংস্কার বন্ধে সচেতন করা হবে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই গ্রামে বিজ্ঞান মঞ্চের সহায়তায় পুলিশের তরফে প্রচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।