কথা ছিল ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চালু হয়ে যাবে কল্যাণীর এইমস। সেই কথা মতো অবশেষে চিকিৎসা শুরু হতে চলেছে কল্যাণী এইমসে। আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) আটটি বিভাগে চালু হচ্ছে আউটডোর পরিষেবা। আপাতত এই আটটি বিভাগ চালু হলেও ধীরে ধীরে সব বিভাগে তা চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনই বিরাট সংখ্যক রোগী দেখা শুরু হবে না। আগে থেকে ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্য বিভাগ চালু করা হবে। তখন বেশি সংখ্যক রোগী দেখাও সম্ভব হবে।নদিয়ায় কল্যাণীর বসন্তপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে প্রায় ১,৮০০ একর জমির উপরে তৈরি হয়েছে এইমস হাসপাতাল। ২০১৬ সালে হাসপাতালের ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্লাস হতে থাকে কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে। ইতিমধ্যে জেএনএম হাসপাতালের পরিবর্তে নিজস্ব ভবনেই পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা যায়নি। তবে আউটডোর পরিষেবা চালু করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, এখন আটটি বিভাগে একজন করে চিকিৎসক আছেন। তাঁরা সপ্তাহে পাঁচদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে শুক্রবার আউটডোরে রোগী দেখবেন। বিভাগগুলি হল - জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা, শিশু, চর্ম, চক্ষু, ইএনটি এবং মনোরোগ। আউটডোর খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এইমসের অধিকর্তা রামজি সিং জানান, আপাতত দিনে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী দেখা হবে। এখনও সব রকমের যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছয়নি। প্রাথমিকভাবে আউটডোর চালু করা হলেও এখনই খুব বেশি রোগী দেখা সম্ভব হবে না। ধীরে ধীরে সমস্ত বিভাগ চালু করা হব।