তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া পার্টি অফিসের ভিতপুজোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বলেছিলেন, ঠিক সময় দরজা খোলা হবে। ২ জানুয়ারি দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে নজর রাখুন। অর্থাৎ সরাসরি বিজেপি ভাঙার কথা বলেছিলেন তিনি। ঠিক তার পরেই দেখা গেল, বিরোধী 💞শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কৃষ্ণনগর পুরসভার পাঁচ কাউন্সিলার। আর এই ঘটনার পর ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা সরাসরি প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে।
কারা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে? নতুন বছরের প্রথম দিন রবিবার দেখা যায়, কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ের মঞ্চে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাত ধরে তিনজন নির্দল কাউন্সিলা🌃র এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন। এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌরীশঙ্কর দত্𝄹তের পুত্র অয়ন দত্ত। এই গোটা যোগদান পর্বটি মন্ত্রীর হাত ধরে হলেও নেপথ্যে হাতযশ রয়েছে মুকুল রায়ের। তিনি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। রায়সাহেব এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। আর পুরো মজাটা নিলেন বসে থেকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই যোগদান কর্মসূচিতে সশরীরে হাজির ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়।♉ রায়সাহেবের এই উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে বিজেপি শিবিরকে। কারণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তাঁর নেতৃত্বেই। সেটাই যেন শুরু হয়ে গেল। একুশের নির্বাচনের পর মুকুল রায় বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তারপর অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজোর পর বিজয়ার প্রণাম সারতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেটাও সবাই দেখেছেন। 🦂তখন দু’জনে ঘণ্টাখানেক বৈঠকও করেন। এবার রায়সাহেবের এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল তিনি আবার আসছেন ফোরফ্রন্টে। যা গেরুয়া শিবিরকে ভাবাচ্ছে।
কে, কী বললেন যোগদানের পরে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী গৌরী। বাবার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন ছেলে অয়নও। পরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে অয়ন বলেন, ‘নির্বাচনে আমা💫র এলাকার মানুষজন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। মানুষ চেয়েছিলেন, আমি পুরনো বাড়িতে ফিরে যাই। তাই তৃণমূ🍸ল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় ভাল করে কাজ করতে চাই।’ আর কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ যোগ দিয়ে বলেন, ‘পুরনো দলে এসে ভাল লাগছে। নিজের ঘরের প্রতি তো মন পড়ে থাকেই।’