সোমবার সকালে শিলিগুড়ির কাছে কঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে ১০টা প্রাণ। কেন ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা মত উঠে এসেছে। এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের বিরুদ্ধে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন এক যাত্রী। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগও এনেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে রেল পুলিশ। রেলের তরফে জানা গিয়েছে বুধবার উত্🐻তর-পূর্ব রেলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিক🌃ারিকের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে এই দুর্ঘটনার তদন্ত।
আরও পড়ুন - রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ♐পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
পড়তে থাকুন - 'মানুষকে ট্রেন ছেড়ে সাইকেল নিতে হয়…'কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্𒀰ঘটনা,🍒 তোপ মমতার
সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দার্জিলিং জেলার রাঙাপানি ও চটের হাট স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে দ্রুতগতিতে এস💃ে ধাক্কা মারে একটি কন্টেনারবাহী মালগাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষ কামরাটি মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপরে উঠে যায়। তার আগের দুটি কামরা ছিটকে পড়ে রেল লাইন থেকে। এই দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৫০ জন। কিন্তু কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা।
রেলের তরফে দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়, মালগাড়ির চালকদের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বেলা বাড়লে বদলে যায় দুর্ঘটনার তত্ত্ব। জানা যায়, সোমবার সকাল ৫.৩০ মিনিট থেকে রাঙাপানি স্টেশনের অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ ছিল। সেখানে পেপার সিগন্যালে ট্রেন চলছিল। রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পেপার সিগন্যাল দিচ্ছিলেন ট্রেনের চালকদের। সেই পেপার সিগন্যালের ভিত্তিতে ৯টি লাল সিগন্যাল অতিক্রম করার অধিকার দেওয়া হচ্ছিল চা🅰লকদের। তবে ট্রেনের গতিবেগ ওই অংশে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটারের বেশি থাকতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা﷽ ছিল পেপার সিগন্যালে।
দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর জানা যায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির দুটি ট্রেনের চালকের কাছেই পেপার সিগন্যাল ছিল। প্রশ্ন উঠছে, কেন পর পর ২টি ট্রেনকে পেপার সিগন্যাল দিলেন রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার। আর পেপার সিগন্যাল নিয়ে কেন প্রবল গতিতে ট্রেন ছোটালেন মালগাড়ির চালক? কারণ মালগাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫ಌ কিলোমিটার ﷽দুর্ঘটনার অভিঘাত এত বড় হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন - 'মৃ♛ত্যুর মু♕খে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,' HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী
এই দুর্ঘটনার পিছনে রেলের গাফিলতিকে দায়ী করে সোমবার রাতে ❀নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী। সেই FIRএর ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে একাধ💙িক ধারায় মামলা রুজু করেছে রেল পুলিশ। ওদিকে বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার রেলের তদন্ত। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বসবে তদন্তকারী দল। সেখানে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানাতে পারবে সাধারণ মানুষ।