যেভাবে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় লকডাউন মান্য করাতে গিয়ে মার খেল রাজ্য পুলিশ, সেই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষেই ভাইরাল হয় ও প্রায় সবাই প্রশ্ন করেন যে কীভাবে একদল মানুষ আইন নিজের হাতে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন, যেখানে রীতিমত প্রাণের ভয় ছুটে পালাতে হয় উর্দিধারীদের।এই ঘটনায় জড়িতদের ছাড়া হবে না বলে মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। টুইটারে তারা পোস্ট করেন- রাজ্য পুলিশ জানায় যে টিকিয়াপাড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় রাজ্য পুলিশ। আইন ভঙ্গ করা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই বার্তাটি রিটুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, হাওড়া যেটি ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের রেড জোন বলে পরিচিত সেখানেই বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব যাতে মানুষ মানে, সেটি বলতে গিয়েই আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। ভাঙচুর হয় গাড়ি, আহত হয় দুই পুলিশকর্মী।হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে কন্টেনমেন্ট জোনে এই ঘটনা হয়েছে। হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানান যে কয়েকজন মহিলাকে পুলিশ বলেছিল ঘরে ফিরে যেতে। তখনই সেখানে কিছু যুবক জড়ো হয় ও ঝামেলা পাকায়, বলে জানান তিনি।ভিডিওগুলি থেকে সাফ এদিন ছোড়া হয় ইট ও বোতল। ঘটনায় ২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী ও RAF ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনার নিন্দা করেছেন হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার নিন্দা করি। প্রশাসনকে যারা সহযোগিতা করতে রাজি নয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন মান্য না করে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই মোরাদাবাদে সেরকম ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক ডাক্তার। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল হাওড়া।