যখন তখন বারবার সহবাস করতে চাইত প্রেমিক। আর তার জন্য জোর খ🐲াটাত এই প্রেমিক। আর গৃহবধূও পরকীয়া প্রেমে মজে উঠেছিলেন। কিন্তু সহবাসের চাপ মেনে নিতে পারছিলেন না গৃহবধূ। একটা সময় সম্পর্ক রাখতে চাননি গৃহবধূ। তখন থেকে শুরু হয় হুমকি। বাড়িতে এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ও কাজ করছিল। অবশেষে পুলিশের হাতে প্রেমিককে ধরিয়ে দিলেন প্রেমিকা গৃহবধূ। ধর্ষণ–সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হল ওই ভিন্ রাজ্যের যুবক প্রেমিক। এখন বারুইপুরে এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম দীনেশ দাস। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সে। কাজের সূত্রে কলকাতায় যাতায়াত ছিল। তখনই বারুইপুরের ৩২ বছরের গৃহবধূর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, পার্কে সময় কাটানো থেকে নানা বিষয়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথোপকথন হতো🉐 তাদের। এরপরেই প্রেমিক দীনেশ প্রায়ই সহবাসেඣর জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকী গৃহবধূর অজান্তে ব্যাগ থেকে মোবাইল নিয়ে তাঁরই কিছু গোপন ছবি এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে প্রেমিক। সেগুলি নিজের ফোনে পাঠিয়ে গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশকে দেও𒊎য়া গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, ওই সব ছবি ‘ডিলিট’ করার নাম করে সহবাস করে দীনেশ। কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে লাগাতার সহবাস করে প্রেমিক দীনেশ। গৃহবধূ ভয়ে সবটা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে সহবাসের চাপ বাড়তে থাকে। আর গৃহবধূর স্বামীও সন্দেহ করতে শু൩রু করেন। শেষে পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে ༒পুলিশের দ্বারস্থ হন গৃহবধূ। বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন তিনি।
কেমন করে পাকড়াও হল প্রেমিক? পুলিশ সব শুনে একটি পরিকল্পনা করে। গৃহবধূকে জানান, সহবাসের টোপ দিয়ে দীনেশকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী দীꦫনেশকে বারুইপুর স্টেশনে ডাকেন গৃহবধূ। দীনেশ স্টেশনে ঢুকতেই তাকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ গ্রেফতার করে। দীনেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ–সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযুক্তকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT A🙈pp থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup