ডায়ম♑ন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক কল্যাণশিসের মৃত্যুর ঘটনার তদন্༺ত নেমে পুলিশ আগেই এক বার মালিককে গ্রেফতার করেছে। আর এবার চিকিৎসকের মৃত্যুতে গ্রেফতার হল আরও দুজন। ধৃত এই দুজনের মধ্যে একজন হলেন বার মালিকের প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া দাস। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ 𝓀প্রাক্তন স্ত্রী'র সঙ্গে মিলে ব্ল্যাকমেল বার মালিকের? চিকিৎসকের ম𒉰ৃত্যুতে রহস্য
গত রবিবার ডায়মন্ড হারবারের কোয়ার্টার থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের। সেই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের বার মালিক অভিজিৎ দাস সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্লাকমেল এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিকিৎসকের একমাত্র মেয়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিজিৎ দাস এবং তার প্রাক্তন স্ত্রীকে থানায় ডেকে পাঠায়। পরে অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় থানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তার প্রাক্তন স্ত্রী। ফলে তাকে ভরতি করা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সুস্থ হতেই তাকে গ্রেফতার ♍করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রিয়ার সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্ক ছিল চিকিৎসকের। অভিজিৎ এবং র🌌িয়া দুজনে মিলে চিকিৎসকের কাছে বিভিন্ন সময় মোটা টাকা নিয়েছেন। এমনকী চিকিৎসককে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ওই দুজনে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসককে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে চরম অবসাদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক। অধিকাংশ সময়ই নেশায় বুঁদ থাকতেন। আত্মহত্যার আগে চিকিৎসকের ফেসবুক পোস্টেও হতাশা ফুটে উঠেছিল।
ধৃতদের এদিন ডায়মন্ডহারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডা⛎য়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। বাকি আরও ৩ জনকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গি๊য়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় এলাকার স্থানীয় মানুষজন দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে ডায়মন্ডহারবার আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের বক্তব্য, চিকিৎসক ঘোষ এলাকার একজন সুচিকিৎসক ছিলেন। তিনি করোনার সময় রোগীদের সুচিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছিলেন। তিনি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। আর তাই দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা ﷽আদালতে সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মানুষজন।