ভারত–নেপাল সীমান্তবর্তী দার্জিলিংয়ের খড়িবাড়ি থানা এলাকায় এক নাব🎀ালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। অভিযোগ, ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে টানা একমাস ধরে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে ওই বৃদ্ধ। এই ঘটনায় ধৃতের বিরুদ্ধে বি𒈔রুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত বৃদ্ধের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নাবালিকাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। ধৃত বৃদ্ধের নাম সীতারাম সিং।
আরও পড়ুন: টাকা ধার দেওয়ার নাম করে ডেকে তরুণ🅰ীকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪
জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি যখন খেলতে যেত তখনই প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধ তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। এর জন্য প্রত্যেকবার নাবালিকাকে ১০ টাকা করে দিত ওই বৃদ্ধ। শুধু তাই না বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে শ্বাস রোধ করে খুন করারও হুমকি দিয়েছিল ওই বৃদ্ধ। কিন্তু, শেষমেষ ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। তারপরেই নাবালিকার বাবা-মা থ🌳ানায় অভিযোগ জানান। সে অভিযোগ পাওয়ার পরে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর প্রত্যেকবার ১০ টাকা করে দিয়েছিল ওই বৃদ্ধ এবং সেই সঙ্গে তাকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। সে কারণে ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। পরে সে তার বাবা মাকে জানালে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নির্যাতিতা নাবালিকার মা জানান, মেয়ে যখনই খেলতে যেত তখনই তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করতো সীতারাম সিং এরপর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ১০ টাকা করে দিত এবং হুমকি দিত। তবে প্রতিদিন এভাবে মেয়ের হাতে টাকা দেখে সন্🦄দেহ হয় নাবালিকার মায়ের। কিন্তু প্রথমে ওই নিয়ে ভয়ে তাঁদের সেকথা জানায়নি। মেয়েটি তাঁদের জানিয়েছিল সে টাকা কুড়িয়ে পেত। অন্যদিকে নাবালিকার পিসি তার মাকে সীতারাম সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তবে নাবালিকা প্রত্যেকবার তার মাকে জানিয়েছিল যে সে টাকা কুড়িয়ে পেত। একইভাবে সোমবার মেয়ের হাতে আবার টাকা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় তার মায়ের। কিন্তু মেয়েকে জিজ্ঞেস করতেই সে আবার জানায় টাকা কুড়িয়ে পেয়েছে। শেষে তাকে চেপে ধরতেই সবকিছু খুলে বলে। এর পরে সীতারামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকার পরিবার। এই ঘটনায় বৃদ্ধের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নাবালিকার বাবা-মা।