ফেসবুকে তৃণমূল বিধায়কের ছবি পোস্ট করায় এক যুবককে দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে রাখল পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি নদীয়ার পলাশীপাড়া থানা এলাকার। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ফেজ টুপি পরা ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে কিছু মন্তব্য করেছিলেন জিল্লুর রহমান নামে ওই যুবক। তার পরেই তাকে থানায় দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই ঘটনায় মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি বাক স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছ🅰ে পুলিশের বিরুদ্ধে।
কী পোস্ট করেছিলেন ওই যুবক?
কিছুদিন আগে একꦫটি ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি ফেজ টুপি পরেছিলেন। তৃণমূল বিধায়কের সেই ছবি পোস্ট করে যুবক লিখেছিলেন, ‘ভোট পাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। কখনও ব্রাহ্মণ, কখনও মুসলমান সাজতে হয়। আবার কখনও কচি বাচ্চার বাবা। আবার কখনও বড় চাষির ছেলে সাজতে হয়। তবেই সেই লোক জনদরদী নেতা হয়। আজকাল সাধারণ মানুষ কাজের মূল্যায়নের জন্য ভোট দেবে না। ভোট দেবে যে যত বহুরূপী সাজতে পারবে, সে তত ভোট পাবে। বর্তমানে এই বাংলাতে ভোটে জিততে হলে তাপস পালের মতো♉, রহমত সাজতে হবে। যে যত ভালবাসা দেবে, তার কাছে তত জাতিবিদ্বেষ থাকবে। যেমন প্রদীপের নিচে অন্ধকার থাকে।’
এরকম পোস্ট করার পরে যুবককে থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি হতে হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের কর💟েছে𝓰 পুলিশ। তাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং সংখ্যালঘু সংগঠন থানায় ফোন করে অবিলম্বে যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যুবককে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি, তাকে শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, যুবক ফেসবুকে যে পোস্ট করেছিলেন তারফলে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।