সাদা রঙের বোলেরা। পিছনের কাচে লাল স্টিকার সাঁটানো। তাতে ইংরেজি হরফে লেখা ‘পোলিট’। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কে যাতাযাতকারী ট্রাকগুলোকে টর্চের আলো ফেলে আটকে দেদার তোলাবাজি চালাচ্ছিল চার ভুয়ো পুলিশ। ইংরেজিতে ‘পুলি🔯শের’ এই ভুল বানানই ধরিয়ে দিল ওই চার ভুয়ো পুলিশকে। শনিবার রাত ১২ টা নাগাদ শিলিগুড়ি ও সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ৮ মাইলে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এই চার ভুয়ো পুলিশকে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিয়মিতভাবে তোলাবাজি চলতো বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি টর্চ লাইট, ডাক্তারের সিল-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ধৃতের পরনে কোনও পুলিশের পোশাক পাওয়া যায়নি। সাদা পোশাকেই জালিয়াতির কারবার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত কতগুলো গাড়িকে আটকে কত টাকা তোলা আদায় করেছিল অ🌼ভিযুক্তরা এছাড়া এই দলে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
শিলিগুড়ি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, এই ঘটনায় আন্তঃরাজ্য চক্র জড়িত রয়েছে। তবে কবে থেকে ভুয়ো পুলিশ সেজে অপারেশন চালাচ্ছিল ধৃতেরা তা দ্রুত বের করা হবে। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে ওই গাড়ি জাতীয় সড়কের নিয়ে গিয়ে নির্জন জায়গায় দাঁড়াত অভিযুক্তরা। তারপর অন্যান্য গাড়িগুলো টর্চের লাইট ফেলে দাঁড় করিয়ে গাড়ির নথি দেখতে চাইত তারা। গাড়ির চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করত অভিযুক্তরা।🎃 কিন্তু শেষপর্যন্ত ধোপে টিকল না জালিয়াতি। ওই গাড়ি⛎তে লেখা ‘স্টিকার’ দেখে সন্দেহ হয় এক চালকের। তিনি ভক্তিনগর থানার খবর দিলে তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে পাকড়াও করা হয় ওই চার অভিযুক্তকে। ধৃতদের জালিয়াতির কায়দা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন পুলিশ অফিসাররাই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন সিকিমের বাসিন্দা। বাকিরা দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকার। ঘটনাস্থল থেকে একটি বোলেরো গাড়িও উদ্ধার হয়েছে। সেই গাড়ির পিছনে ‘পুলিট’ লেখা ﷽স্টিকারই ধরিয়ে দিল ভুয়ো পুলিশকে।