বিগত দিনে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। গরু, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির মতো কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের তাবড় সব নেতাদের নাম। জেলে গিয়ে দলীয় পদ খুঁইয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাজতে বসে আছেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। এদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় নাম জড়িয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসদের। এই আবহে এবার হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ‘জেলে যাওয়ার’ কথা।প্রসূন দাবি করেব, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করা হবে বিভিন্ন ভাবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁকেও জেলে নিয়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসূন বলেন, ‘আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি কার কার নাম আসছে, কীভাবে নাম আসছে, কেন আসছে?’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমাকে জেলে নিলে জেলে গিয়েও ফুটবল শেখাব। আরও কাউকে শেখাতে পারব যারা ফুটবল খেলে না। কিন্তু কথা সেটা না। এটা যারা করছে, একেবারে অসভ্য দল। এই দলটাকে ভারতবর্ষ থেকে না তাড়ানো গেলে দেশটা শেষ হয়ে যাবে।’এদিকে সৌগত রায়ের ‘বিরোধীদের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রসূনবাবু বলেন, ‘সৌগতদা বাধ্য হয়ে বলেছেন এই কথা।’ প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ফুটবলার ও অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত প্রসূনের বক্তব্য, ‘উনি (সৌগত রায়) কখনও তো এরকম কথা বলেন না। এত নোংরামি হচ্ছে, বলতে তো হবেই। রাস্তায় চলতে দিচ্ছে না আমাদের। এটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরদার। দিদি ডেকেছেন, মিটিং আছে সামনেই। দিদি বলবেন। আর কাদের সঙ্গে লড়াই করব? যারা হেরে রয়েছেন?’