সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রতিবারের মতো এবারও ভোটে বেসরকারি বাস ভাড়া নেবে নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় কলকাতার বেসরকারি বাস মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তবে বাস ভাড়া দিতে আপত্তি জান🌳িয়েছে হুগলি জেলার বাস মালিকদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, এক বছর আগে পুরভোট হয়েছে। সেই সময়ও বাস ভাড়া নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অথচ সেই টাকা এখনও মেটায়নি। অবিলম্বে সেই টাকা মেটালে তবেই বাস ভাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি মালিকরা। তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাস ভাড়া মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
সাধারণত ভোটে কর্মী এবং নিরাপ♌ত্তা বাহিনীর যাতায়াতের জন্য প্রচুর সংখ্যক বাস প্রয়োজন ꦑহয়। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণার পরে হুগলির বাস মিনিবাস সংগঠনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা অশোক ঘোষ। সেꦗই বৈঠকে বাস ভাড়া নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সরকারি বাস মালিকরা জানিয়ে দেন, অবিলম্বে পুরভোটের বকেয়া মেটাতে হবে। তবেই তারা বাস ভাড়া দেবেন। এরপরেই বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দেন🍸 আরটিও।
এ বিষয়ে হুগলি🗹 জেলা বাস মিনিবাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত খাঁ জানিয়েছেন, ‘পুর🙈ভোটের টাকা আমরা পায়নি। এখনও অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। এমনকী কোনও কোনও বাস বিধানসভা ভোটের টাকাও পায়নি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রশাসন বাস চাইলে আমাদের দিতে হবে। কিন্তু টাকা না পেলে, কর্মীরা যেতে না চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বৈঠকে এ কথা বলেছি।’ অন্যদিকে, শ্রীরামপুর মহকুমা বাস মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন প্রামানিক বলেন, ‘প্রতিদিনই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস চালানোর জন্য খরচ বাড়ছে। এই অবস্থায় অনেক বাস বসে গিয়েছে। অনেক রুটে বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের টাকা না মেটালে অনেকেই বাস ভাড়া দিতে আগ্রহী হচ্ছে না।’
যদিও আরটিও জানান,💧 ‘পুরভোটে টাকা বকেয়া রয়েছে ঠিকই, তবে মালিকরা বাস দেওয়ার পক্ষে নন এ কথা কেউ বলেনি।আমরা বকেয়া কীভাবে মেটানো যায় সেটা দেখছি। দফতর থেকে অর্থ আসলে বকেয়া দেওয়া হবে।’ বাস মালিকদের বক্তব্য, পুর ভোটে হুগলি জেলা থেকে ৫০০ বাস ভাড়া গিয়েছিল। প্রতিদিনে বাস পিছু ভাড়া হয়েছিল ২৩০০ টাকা। ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছে এখনও ৪০ শতাংশ টাকা বাকি আছে। সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি বকেয়া রয়েছে।