কৃষকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৃষিজমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আন্দোলনের ঝড় তুলে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে রাজ্যে কোনও কৃষকের জমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে অধিগ্রহণ করবে না সরকার। ২০০৬ সালের সিঙুর আন্দোলনের সেই সব দিনের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এক দশক পার করে এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধেই কৃষকের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ থেকে বিডিও, কাউকে জানিয়েই কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি কৃষকদের। তাই এবার আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা।পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের বেতাল বন গ্রামের। সেখানে ৩০ কাঠা একটি সরকারি জমিতে ৬০ বছর ধরে চাষ করে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। তাঁদের দাবি, বিকল্প জমি থাকলেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ভাগাড় তৈরির জন্য ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে প্রশাসন। আর একথা শোনার পরেই মাথায় বাজ পড়েছে কৃষকদের। জমি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ দেখায় পরিবারগুলি।জমি হারাতে চলা এক কৃষক বলেন, ‘আসেপাসে অনেক খাস জমি হয়েছে। সেখানে প্রকল্প হতে পারে। তা না করে কৃষিজমিতে ভাগাড় তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের কিছু জানানো হয়নি। বিডিওর নির্দেশে পঞ্চায়েত প্রধান নিজের মতো করে এসব করেছে। আমরা এই জমি ঠাকুরদার আমল থেকে চাষ করছি। এই জমিটুকু ছাড়া আমাদের কিছুই নেই। জমি নিয়ে নিলে সপরিবারে না খেয়ে মরতে হবে। তার আগে আমরা আত্মহত্যা করব।’বিষয়টি নিয়ে লোয়া কৃষ্ণরামপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিরাজ মল্লিক বলেন, সকলের সুবিধার্থে সরকারের প্রকল্প সরকারের জায়গায় হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য সামান্য জায়গা নেওয়া হচ্ছে, বাকি জায়গায় তারা চাষ করতে পারবেন।