আগামী পাঁচ বছরের মধ্য়ে বাংলার সব গ্রামীণ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য 'জলস্বপ্ন প্রকল্প'-এর সূচনা করল রাজ্য সরকার। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৮,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু সেই প্রকল্প ইতিমধ্যে নিয়ে একধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য গত অর্থবর্ষে রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২.২৪ লাখ। সেখানে মাত্র ৪,৭২০ বাড়িতে পানীয় জলের ট্যাপ বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, গত অর্থবর্ষে ৯৯৯৩.৩৮ কোটি টাকা দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু মাত্র ৪২১.৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকিটা অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১,৬১০.৭৬ কোটি টাকা করা হয়েছে। রাজ্য়ের ভাগ ধরে সেই প্রকল্পে সর্বমোট ৫,৫১৫ কোটি টাকা পড়ে আছে। তা নিয়ে অবশ্য সরকারিভাবে নবান্নের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।তারমধ্যেই সোমবার কেন্দ্রের ধাঁচে প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, 'নদীমাতৃক দেশ এই বাংলা। কিন্তু অস্বীকার করে লাভ নেই, এখনও অনেক মানুষের বাড়িতে সরাসরি পানীয় জল পৌঁছায় না। তাই আমরা একটা প্রকল্প নিচ্ছি, এই দুঃসময়ের মধ্যেও। ৫৮,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রত্যেকটা বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। তিনি জানান, ধাপে ধাপে দু'কোটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার আগামী পাঁচ বছরে পুরো প্রকল্পটি শেষ হবে।'যদিও রাজ্য নয়া প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত গতবারের লক্ষ্য পূরণ করতে না পারায় এবার রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রা একলাফে প্রায় দ্বিগুণ (৬৪.৪৩ লাখ) করেছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করে বিধানসভা ভোটের বছর ন'মাস আগে একই উদ্দেশ্যে কেন নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে বিভিন্ন একাধিক প্রশ্ন উঠছে।