রাত ২টোর পর পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাও থেকে মুক্ত হলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার। মঙ্গলবার বিকেল থেকে টানা ১০ ঘণ্টার বেশি ঘেরাও করা হয় উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার এবং সহকারী রেজিস্ট্রারকে। তবে এই আবহে অশিক্ষক কর্মীদের উপস্থিতি অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে উপাচার্য দীপককুমার রায়কে ঘেরাও থেকে মুক্ত করে পুলিশ। রায়গঞ্জ থানার পুলিশকর্মীরা গিয়ে আন্দোলনকারী তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীদের বুঝিয়ে উপাচার্যকে ঘর থেকে বের করে তাঁর গাড়িতে তোলেন। উপাচার্য🅠কে সরকারি আবাসনে নিয়ে যান।
এদিকে উপাচার্য দীপককুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করা, বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কমিটি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ–সহ নানা দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীরা। আবার স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স আইনে আর্থিক সুবিধার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একই সময়ে অবস্থান–বিক্ষোভে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। এই বিষয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, ‘এস্টেট কমিটির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আসছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউটে এস্টেট কমিটির কোনও ꦺউল্লেখ নেই। তৎকালীন উপাচার্য কেন এস্টেট কমিটি গঠন করেছিলেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন। আমি উপাচার্যের চেয়ারে বসেই দেখলাম, এস্টেট কমিটি যদি থাকে তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট বিরোধী কাজ হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে একজনকে এস্টেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অন্যদিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ উপাচার্য অসুস্থবোধ করলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানান। তখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে উপাচার্যকে ঘেরাও থেকে মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার পরই পুলিশ সক্রিয় হয়। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নরেন্দ্রনাথ গিরিকে এস্টেট অফিসারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় যখন কলেজ ছিল তখন অধ্যাপক গিরি কলেজের এস্টেট অফিসার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মী সংগঠনের নেতা তথা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি তপন নাগের দাবি, তাঁরা উপাচার্যকে আটকে রাখেননি। তপনবাবু বলেন, ‘উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কমিটি 🌌ভেঙে দেন। ওই কমিটির মাথায় বিজেপিপন্থী এক শিক্ষককে বসান। কমিটিতে শিক্ষাকর্মীদের রাখা হয়নি। প্রতিবাদে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবস্থান–বিকꦺ্ষোভ করেছি।’
আরও পড়ুন: রাজ্যে আবার এক রাস্তার রং নীল–সাদা, আধু🎃নিক এই পথܫ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন
এছাড়া রাত ১২টার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার এবং সহকারী রেজিস্ট্রার। কিন্তু মাঝরাতের ওই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তাই রাত ২টো নাগাদ রেজিস্ট্রারকে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন উপাচার্য। আর তখনই খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। হাজির হন এꦬকজন সাব–ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ পৌঁছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ততক্ষণে আন্দোলনকারীদের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফার বৈঠ🍎কে বসার সিদ্ধান্ত জানান উপাচার্য।