এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল পড়তেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন রঞ্জন নামের একজন ১৫ ꧙থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে🅠 বহু মানুষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই রঞ্জন সম্পর্কে নতুন তথ্য উঠে আসছে। রঞ্জনের আসল পরিচয় জানা না গেলেও এলাকায় গিয়ে জানা যাচ্ছে, একসময় অভাবের সংসার ছিল রঞ্জনের। ২০১২ সাল থেকে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বহুগুণে বেড়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা রঞ্জনকে নিয়ে লোক𒊎মুখে কথাই শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে প্রাথমিক স্কুলে পার্শ্ব শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন রঞ্জন। তার আগে তিনি গৃহশিক্ষকতা করে সংসার চালাতেন। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই তার প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। অন্যান্য শিক্ষকদের কথায়, রঞ্জন নিয়মিত স্কুলে যেতেন না। তবে স্কুলে গিয়ে ﷺতিনি খুব ভালো পড়াতেন। ছাত্রদের সঙ্গে গল্প করতেন। তার বাড়িতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন লোক আসা যাওয়া করত। এত ব্যস্ততার মধ্যে তিনি রোজ স্কুলে যেতেন না বলে জানা গিয়েছে।
পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন কলকাতায় উপর মহলে তার ওঠা-বসা ছিল। সেই সূত্রেই টা🐭কা নিয়ে স্কুলে চাকরি দেওয়ার কারবার জমে উঠেছিল। তবে তিনি খুবই সাদামাটা মানুষ বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্কুটিতে করেই ঘুরে বেড়াতেন। তার সঙ্গে কাজ করে অনেকেই বাড়ি গাড়ি করে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে রঞ্জনের এক সহযোগী যুবকের কথা। সেই যুবকই নাকি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কারবার দেখাশোনা করত। এখন সে গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ায়। একটি অফিসও বানিয়ে ফেলেছে। তবে সে অফিসে কী কাজ হয় তা অবশ্য জানা নেই কারও। ওই যুবকের সঙ্গে দেখℱা করা হলে তিনি রঞ্জন সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এ নিয়ে তিনি বেশি কথা বলতে চাননি। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই যুবকের পরিবারের ৩ জনকে চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন রঞ্জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জন শুধু স্কুলের চাকরি পাইয়ে দিতেন তাই নয়, টাকার পরিবর্তে বদলির ব্যবস্থা করিয়ে দিতেন। এর জন্য এক থেকে দেড় লক𒊎্ষ টাকা নিতেন। আর তিনি কাউকে ফে☂রাতেন না বলেই জানা গিয়েছে।