পূর্ণ ঐতিহ্🍬য মেনেই মাহেশের রথযাত্রা পালিত হয়ে আসছে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবারও টানা হবে না মাহেশের রথ। রথের রশিতে টান না পড়লেও এবারে পুরো রীতিনীতি মেনেই পুজো হতে শুরু করেছে।
মন্দিরের প্রধান সেবক সৌমেন অধিকারী জানান, ‘ঐতিহাসিক এই রথযাত্রায় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এসেছিলেন। এই রথের প্রতিটি অংশে ꦅইতিহাস জড়িয়ে আছে।’ প্রতি বছরই এদিন রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে বসানোর পর একটি বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই পুজো দামোদর পুজো নামে খ্যাত। তিন তলা এই রথে যেখানে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথকে বসানো হয়, সেখানে রথের নীচে একটি ছবি রাখা হয়েছে। সেখানেই সকাল থেকে পুজোর পর্ব চলছে। তবে গোটা রথকে সাজি💖য়ে রাখা হয়েছে। এদিন বিশেষ ভোগেরও আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ ভোগ হিসাবে পোলাও, খিচুড়ি, আলুরদম, ধোকার ডালনা, পনির ও পায়েসের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি বছরই বথের দিন থেকে শুরু করে উল্টো রথ অবধি এই ধরনের বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। এদিনও ভোগের বিষয়ে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, পুরনো এই রথ তৈরিতে খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। মাহেশের এই রথ পরিচিত নীলাচল নামে। প্রথম যখন রথযাত্রা শুরু হয়, তখন কাঠের রথ বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে এই রথ কাঠের ꦫবদলে লোহার করা হয়। সেই থেকে লোহার রথই এখনও পূজিত হয়ে আসছে।