এনডিএ সরকারে মন্ত্রিত্ব না পেলে ফের তিনি তৃণমূলে ফিরে যেতে পার♌েন। রবিবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এর আগে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তিনি। সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর কর্মদক্ষতা থাকলেও তাঁকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেল অন্য মুডে। ফেসবুকে সেই শপথ অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘&n🌜bsp;মোদী ৩.০-এর ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায়। এটা মূলত সমস্ত বিজেপি কর্মীর জন্য আনন্দের এবং অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত, যাঁরা এই স্বপ্নকে বাস্ত♛বায়িত করেছেন।’
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি মন্ত্রিত্বের পদ না পাই তাহলে আমি দল ত্যাগ করতে পারি। যদি দল আমার প্রতি ⭕ন্যায়বিচার না করে, তাহলে থাকার কী মানে? আমি যেভাবে চাই সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ যাওয়া সৌমিত্র খাঁ ইঙ্গিত দিয়েছেন, যে তাঁর কাছে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে, যার মধ্যে একটি ‘তৃণমূলে ফিরে যাওয়া’।
আরও পড়ুন। ভরতপুরে লিড কম, স্বরূপে হুমায়ূন,♏ দোষারোপ জেলা ও ব্লক সভাপতিদের
এই বক্তব্য রাখার আগেই তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, ‘যাঁরা মিথ্যে প্রেক্ষাপট তৈরি করে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে জানাতে চাই, আমি ছিলাম পার্লামেন্টের প্রথম নির্বাচিত সদস্য যে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন দলের সমস্ত সাংগঠনিক অবস্থান ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। তারপর থেকে আমি দলের জন্য এক নিষ্ঠাবান কর্মী এবং শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নির্দেশ ও নেতৃত্বে কাজ করেছি। 🌺 আমার যোগদানের পর থেকে কিছু জন আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, যাঁরা পর্দার আড়ালে থেকে এই খেলাটি খেলছেন তাঁদের জন্য আমি বলতে চাই যে, সৌমিত্র খাঁ কখনই বিক্রি হবে না এবং রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত বাংলার মানুষের জন্য লড়াই করে যাবে। আমি বিজেপির সাথে রয়েছি এবং শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেত♏ৃত্বে মানুষের সেবা করতে থাকব। যাতে আমরা বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।’
সৌমিত্র খাঁ ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে আসনটিও গেরুয়া শিবিরে চলে আসে। তাঁর যোগদা♐নের পর, দলটি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার নির্বাচনী এলাকায় ওন্দা, ইন্দাস এবং সোনামুখী তিনটি আসন জেতে। ২০২৪ সালে তিনি আবার বিষ্ণুপুর থেকে জয়ী হন, যদিও তার ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় (২০১৯ সালের ৭৮,০৪৭ থেকে ২০২🧸৪ সালে ৫,৫৬৭)।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি আমার কারণে রাঢ় বঙ্গ এলাকায় প্রবেশ করেছে। আমি যদি ছেড়ে দিই, দল এই এলাকায় তার দখল হারাবে। বাবুল স꧙ুপ্রিয় চলে যাওয়ার পর আসানসোলে আমরা একই অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছি। রাজ্য ইউনিটটি অনেকের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যাঁরা কখনও নির্বাচন জিতেনি।’
সৌমিত্র আরও বলেন, ‘আমি রাঢ় বঙ্গ থেকে পাঁচজন বিধায়কের জয় নিশ্চিত করেছি। আমার মেয়াদকালে, যুব মোর্চা ভাল পারফর্ম করেছে। এর পরেও, আমাকে কোর কমিটির জন্য বিবেচনা করা হয়নি। আমার একটি সরকারি পদ রয়েছে কিন্তু এর তেমন মূল্য নেই। গতবার মন্ত্রিত্বের আশা করিনি, কিন্তু বিষ্ণুপুর থেকে টানা তৃতীয়বারജ জয়ী হওয়ার পর আমি এখন উপেক্ষিত বোধ করছি।’
সাংসদের সংযোজন, ‘বিজেপি এখন তাদের𒉰কে প্রচা🧸র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা দলকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে।"
যদিও তৃণমূল আনুষ্ঠানিকভাবে সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে দলের একজন প্রবীণ নেতার কথায়, ‘তৃণমূল নেতৃত্ব এটি সম্পর্ক꧅ে সচেতন। খান বিষ্ণুপুর থেকে তিনবার জিতেছেন, একটি কৃতিত্ব যা বাংলার বিজেপিতে খুব কম লোকই অর্জন করতে পেরেছেন।’
সৌমিত্র খাঁ এর আগে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রশংসা করেছিলেন। তবে মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যে মুডে তাঁকে দেখা গেল, তাতে𝕴 মনে হয় দিল্লিতে পা রেখে বিষ্ণুপুরের সাংসদের ক্ষোভ প﷽্রশমন হয়েছে।